হাথরস: গণধর্ষণই করা হয়েছিল হাথরসের ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে। আজ, শুক্রবার চার্জশিট পেশ করে গণধর্ষণের তত্ত্বকেই ফের একবার মান্যতা দিল সিবিআই।
শুক্রবার হাথরস আদালতে সিবিআই চার্জশিট পেশ করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৭৬ এ, ৩৭৬ ডি ও ৩০২ ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তফশিলি জাতি-উপজাতি আইনের অধীনেও ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করে তদন্তকারী সংস্থা।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উত্তর প্রদেশের হাথরসে ক্ষেতে কাজ করার সময় ১৯ বছরের এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করে চার উচ্চবর্ণের যুবক। চিকিৎসার জন্য দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলেও ২৯ সেপ্টেম্বর জীবনযুদ্ধে হেরে যায় ওই তরুণী।
পরেরদিন পরিবারের অনুমতি ছাড়াই রাতের অন্ধকারে গ্রামের একটি মাঠে তাঁর দেহ সৎকার করে দেয় পুলিস। যদিও পুলিস দাবি করে, পরিবারের সম্মতিতেই সৎকার করা হয়েছিল ওই তরুণীর। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে যোগী সরকার।
চাপের মুখে পড়েই সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেয় উত্তর প্রদেশ সরকার। অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সিবিআই তদন্তের উপর নজরদারি করবে এলাহাবাদ কোর্ট। চলতি সপ্তাহেই সিবিআই তদন্ত শেষ করার জন্য আরও কিছু সময়ের আবেদন জানায় আদালতে। বুধবার এলাহাবাদ আদালত সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী বছরের ২৭ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করে।
অন্যদিকে, অভিযু্ক্ত চার যুবক জেল থেকেই উত্তর প্রদেশ পুলিসের কাছে চিঠি লিখে জানিয়েছে, তাঁদের চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। চিঠিতে ধর্ষিতা কিশোরীর মা ও দাদার বিরুদ্ধেও তরুণীর উপর অত্যাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তরুণীর পরিবার।