দেশে আজ থেকে শুরু হচ্ছে তৃতীয় দফায় করণা টিকাকরন। প্রথম দফায় প্রথম সারির করণা যোদ্ধাদের এবং দ্বিতীয় দফায় পুলিশকর্মীদের টিকাকরণের পর এবারে শুরু হচ্ছে সাধারণ মানুষের টিকাকরণ। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস এর জন্য মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০,০০০ এর গণ্ডি। তারই মধ্যে এবারে যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সেই যাদের মধ্যে কো মর্বিডিটি রয়েছে তাদের টিকাকরন করা হবে আজ থেকে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী করণা টিকা নিয়েছেন বলে খবর। গলায় অসমের গামছা ঝুলিয়ে পুদুচেরি এবং কেরলের নার্সের কাছ থেকে তিনি টিকা গ্রহণ করেছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, এই করণা টিকাকরনের জন্য বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আজকে দুপুর বারোটা নাগাদ খুলে দেওয়া হবে কো উইন অ্যাপ্লিকেশন। তারপর আপনার আধার কার্ড এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। তারপরে যারা দুপুর তিনটের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন তাদেরকে বেসরকারি হাসপাতালে টিকা করন করা হবে আগামীকালের মধ্যে। আপনি যে নথিপত্র নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, সেই নথিপত্র নিয়ে হাসপাতালে যেতে হবে। অন্যদিকে, সরকারি হাসপাতালে টিকা করন করা হবে আজকে থেকেই।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার সূত্রে খবর, ১৫ সরকারি হাসপাতাল এবং ১০ বেসরকারি হাসপাতালে সোমবার থেকে টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে। হাসপাতালে গেলে সেখানে ভারতের দুটি করোনা ভ্যাকসিন কো ভ্যাকসিন এবং কোভি শিল্ড এর মধ্যে একটি বেছে নেওয়া হবে। সরকারি হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের টিকা একেবারে বিনামূল্যে মিলবে। আর যদি আপনি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে করনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করেন তাহলে আপনাকে সর্বাধিক ২৫০ টাকা খরচ করতে হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই করোনা ভাইরাসের টিকার দাম যাতে একেবারেই বিনামূল্যে করা হয়, সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেসরকারি হাসপাতালে প্রথমদিন ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন সর্বাধিক ৫০ জন, যাদের মধ্যে ৩০ জন হবেন এমন যাদের বয়স ৬০ এর বেশী আর ২০ জন হবেন এমন যাদের কো মর্বিডিটি আছে। যদিও কোন রোগ গুলি কে কো মর্বিডিটি হিসেবে গণ্য করা হবে সেই তালিকা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।