বাংলার পছন্দ ‘বাংলার মেয়েকে’! নতুন মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ কবে?
তৃণমূল কংগ্রেস মোট ২৯৪ আসনের মধ্যে ২০০ এর বেশি আসনে জিততে চলেছে
গতকাল সকাল থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর বাংলায় জয় নিশ্চিত করেছে তৃণমূল শিবির। অন্যদিকে নির্বাচনের ফলপ্রকাশে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। সবাই গেরুয়া শিবিরের সোনার বাংলা পছন্দ না করে বাংলার মেয়ের ওপরেই ভরসা রেখেছে। তৃণমূল কংগ্রেস মোট ২৯৪ আসনের মধ্যে ২০০ এর বেশি আসনে জিততে চলেছে। বঙ্গবাসী প্রমাণ করেছে যে তারা বাংলার মেয়ের হ্যাটট্রিক দেখতে চাই। অন্যদিকে বিজেপি দুই অঙ্কের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারেনি। এখন ঘাসফুল শিবিরের শপথগ্রহণের পালা। সেই জন্য ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আজ অর্থাৎ সোমবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সাথে দেখা করে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠনের দাবি জানাবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এই করোনা আবহে তৃণমূল কংগ্রেস কোন বিজয় মিছিল বা বিজয় উৎসব করবে না। এমনকি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কাটছাঁট করেছেন। তিনি আজ সন্ধ্যে ৭ টা নাগাদ রাজ্যপালের সাথে একটি বৈঠক করবেন। তারপর সম্ভবত আগামী ৭ মে রাজভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করবে। এমনকি ইতিমধ্যে কারা কারা মন্ত্রী হবে অর্থাৎ মমতার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নামের নীল নকশা তৈরি হয়ে গেছে। আজ দুপুরে ঘোষণার পর মন্ত্রিসভা তৈরি হবে রাজভবনে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামের বিতর্কমূলক হার প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “ওখানে ভোট লুঠ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিজেপির মুখপাত্র হয়ে সব কাজ করেছে। তিন ঘন্টা সার্ভার চলে যাওয়ার নাম করে ওখানে ব্যাপক কারসাজি হয়েছে। তবে আমি নন্দীগ্রামে আন্দোলন করেছিলাম। নন্দীগ্রামের মানুষ যা চাইবে তাই আমি মাথা পেতে নিলাম। এবারে নির্বাচনের যেমন স্বেচ্ছাচারিতা দেখলাম তার একটা বিহিত হওয়া দরকার। তাই আমি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হব।”