একটা সময় বলিউডের সবথেকে জনপ্রিয় কিছু ভিলেনের মধ্যে একজন ছিলেন অমরিশ পুরি। তার ভারিক্কি যুক্ত গলার আওয়াজ , তার ব্যক্তিত্ব, তার সংলাপ বলার দক্ষতা সবকিছুই তাকে একটা আলাদা মাত্রা এবং আলাদা পরিচয় দিয়েছিল বলিউডে। দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে সিনেমায় সিমরান অর্থাৎ কাজলের বাবার চরিত্রে অভিনয় হোক কিংবা মোগাম্বো খুশ হুয়া বলে অট্টহাস্য দেওয়া হোক, অমরিশ পুরি ছিলেন সবকিছুতেই একেবারে একাই একশো। পুরো দেশ তার এই অসাধারণ অভিনয় দক্ষতার দিওয়ানা ছিল। একটা সময় এমন ছিল, যখন যেকোনো ভিলেন চরিত্রেই তিনি ছিলেন সর্বেসর্বা। তাকে কাস্ট করানোর জন্য পরিচালকদের লাইন লেগে থাকতো।
কিন্তু তিনি সবসময়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পরিচিত মুখ হিসাবে ছিলেন। তার মৃত্যুর পরেও তাকে এখনো সকলেই মনে রাখে তার অভিনীত কিছু কাল্ট চরিত্রের জন্য। তবে, সম্প্রতি আবার তাকে আবারো সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দায় দেখা যাচ্ছে। তবে, এবারে তাকে তার অভিনয় কিংবা তার চরিত্রের জন্য দেখা যাচ্ছে না, তাকে দেখা যাচ্ছে, তার মেয়ের জন্য। আসলে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে তার মেয়ের একটি ছবি ভাইরাল হতে শুরু করেছে, যেখানে তার কন্যাকে লাগছে বেশ সুন্দরী। এমনকি তাকে কোনো বলিউড অভিনেত্রীর থেকে কম কিছু মনে হচ্ছেনা। তার সৌন্দর্য দেখে মনেই হচ্ছেনা, যে তিনি এমন একজনের কন্যা যার নামে বলিউড জগতে একটা সময়ে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত।
তার কন্যার সৌন্দর্য্য রীতিমতো প্রশংসার যোগ্য এবং কয়েকটি ছবিতে তিনি বলিউড ডিভা ঐশ্বর্য্য রায়কেও ছাপিয়ে যাচ্ছেন। ওনার কন্যার নাম নমৃতা এবং তিনি তার সৌন্দর্যের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই সকলকে পাগল করে দিয়েছেন। তার এইসব ছবি দেখলে আপনারা তার সৌন্দর্যের ব্যাপারে ধারণা করে ফেলতে পারবেন খুবই সহজে। তবে সবথেকে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, নমৃতা নিজে এত সুন্দরী হওয়ার পরেও তিনি কিন্তু বলিউডের জাকজমক থেকে একেবারেই দূরে থাকতে পছন্দ করেন। তিনি চাইলেই বলিউডে অভিনয় করতেই পারতেন, কিন্তু তিনি সাধারণ ভাবেই জীবন যাপন করার চিন্তা করেছেন।
তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি, নমৃতা কিন্তু ভারতের বাসিন্দা নন। বাবার কাজের ব্যাপারেও তাকে বেশি কথা বলতে শোনা যায়নি কোনদিন তেমন ভাবে। তিনি ভারতে এখন থাকেন না। বরং তিনি বিদেশে এখন নিজের স্বামীকে নিয়ে একেবারে সেটেল ডাউন। তবে তিনি একেবারেই যে হোম মেকার তাও না, তিনি কিন্তু নিজে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং তিনি নিজে এই কাজ করে থাকেন বিদেশে। বলিউডের কাজ কর্ম, তাদের পদ্ধতি এইসব থেকে তিনি কয়েক ক্রোশ দূরে থাকতেই পছন্দ করেন। ঠিক সেই কারণেই তিনি নিজের পরিবারের সঙ্গে বিদেশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।