বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ পরিচিত নাম হল মমতা কুলকার্নি। একটা সময় হিন্দি সিনেমার জগতে প্রথম সারির অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। তাঁর অভিনয় দক্ষতার ফ্যান ছিল লক্ষ লক্ষ মানুষ। তবে বর্তমানে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড এর সাথে খুব একটা যোগাযোগ নেই তার। এখন আর কোনো সিনেমাতে তাকে দেখা যায় না। তবে তিনি এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ সক্রিয় থাকেন। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন ধরনের ফটোশুট এর ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করে অনুরাগীদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখেন তিনি। আসলে মমতা কুলকর্নির অসম্ভব সুন্দর অভিনয় ও সৌন্দর্যের ফ্যান আজও তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ফলো করে।
এখন মমতা কুলকানির বয়স প্রায় ৪৫ বছর। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকে দেখলে আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না এই বয়সেও অভিনেত্রী কি করে এত মেইনটেইন করে চলে। এখনও অব্দি মমতা কুলকার্নির সৌন্দর্যের সামনে ক্লিন বোল্ড হয়ে যেতে পারে অনেক তাবড় তাবড় বলিউড অভিনেত্রী। তাইতো সোশ্যাল মিডিয়াতে সর্বদা চর্চার লাইমলাইটে থাকেন এই অভিনেত্রী। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াও তার নামে একাধিক ফ্যান পেজ রয়েছে। সেখানেও ছবি এলেই তা চোখের পলকে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায়।
একটা সময় বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সৌন্দর্যের প্রতীক ছিলেন মমতা কুলকার্নি। তিনি একাধিক বিগ বাজেট ফিল্মে কাজ করেছেন। তার মধ্যেই সালমান খানের সাথে কারান অর্জুন সিনেমাতে কাজ করে মমতা কুলকার্নি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। ওই সিনেমার একাধিক মিউজিক ভিডিও আজকের দিনেও সমানভাবে জনপ্রিয়। তবে অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারের পিক সময়ে হঠাৎ করেই তিনি গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে সরে যান। তারপর দীর্ঘ কয়েক বছর আর দেখা যায়নি তাকে। অতিসম্প্রতি আবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনুরাগীদের সামনে এসেছেন তিনি।
জানিয়ে রাখা ভাল, মমতা কুলকার্নি ১৯৭২ সালের ২০ এপ্রিল এক মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালে বলিউড সিনেমা “তিরঙ্গা” এর মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ করেন তিনি। তারপর তাকে আর ঘুরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক হিট ফিল্ম যেমন, আশিক আওয়ারা, চায়না গেট, বাজি ইত্যাদি সিনেমায় কাজ করেন তিনি। এরপর ২০০২ সালে “কাভি তুম কাভি হাম” সিনেমাতে অভিনয় করার পর বলিউড থেকে বিদায় নেন তিনি। তবে এখনও অব্দি এই অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা একই রয়েছে ফ্যানদের মধ্যে।