খেলাক্রিকেট

টেনশনে রাতে ঘুম হয়নি, গুজরাটের বিরুদ্ধে অর্ধশত রানের ইনিংস খেলে অকপটে স্বীকার করলেন আয়ুষ বাদোনি

Advertisement

নিজের অভিষেক ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ঠিক এমনটাই করলেন আয়ুষ বাদোনি। ছয় নম্বরে লখনউ সুপার জায়েন্টসের হয়ে ব্যাট করতে নেমে এক অসাধারণ ৪১ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন বাদোনি। এরপর নিজের মনের ভাব ব্যক্ত করেছেন লখনউ-এর তরুণ ক্রিকেটার। তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন পাঁচ ওভারও হয়নি। দল মাত্র ২৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল। সেই প্রবল চাপ থেকে টেনে তুলে দলকে ১৫৮ রানের লড়াকু রানে পৌঁছে দেন বাদোনি। এজন্য তার ইনিংসটিকে পুরো ম্যাচের সেরা ইনিংস বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও।

গতকাল আইপিএলের চতুর্থ ম্যাচে টসে জিতে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন গুজরাট টাইটানসের হার্দিক পাণ্ডিয়া। শুরুতেই ব্যাট করতে নেমে বড় ধাক্কা খান লখনউ অধিনায়ক। প্রথম বলেই শূন্য করে আউট হন কেএল রাহুল। তাঁকে ফেরান তাঁরই জাতীয় দলের সতীর্থ মহম্মদ সামি। এরফলে গুজরাটের কোন দলের বিপক্ষে আরো একবার ‘গোল্ডেন ডাক’ পাওয়ার রেকর্ড গড়লেন কে এল রাহুল। শুধুমাত্র কে এল রাহুলই নন। প্রতিপক্ষের ওপেনিং ব্যাটসম্যান শুভমান গিলও গড়েছেন একই নজির। তিনি ব্যক্তিগত তিন বলে শূন্য রানে আউট হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।

দল যখন একের পর এক উইকেট হারিয়ে শতরানের গণ্ডি টপকাতে মরিয়া, ঠিক সেই মুহুর্তে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন আয়ুষ বাদোনি। অভিষেক ম্যাচের আগে সকলেরই চাপ থাকে। বাদোনিও যে এত বড় মঞ্চে প্রথম ম্যাচের আগে চাপে ছিলেন, সে কথা নির্দ্বিধায় মেনে নিচ্ছেন। ‘আমি গতকাল রাতে ঘুমোতেই পারিনি। ভীষণ নার্ভাস ছিলাম। তবে প্রথম বাউন্ডারিটি মারার পরেই আত্মবিশ্বাস আসে অল্প অল্প করে।’ তবে ম্যাচ শেষে দুঃখ প্রকাশ করে আয়ুষ বাদোনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস আমার ব্যাট থেকে এলেও শেষ পর্যন্ত দল পরাজিত হয়েছে। তাই তার ইনিংসের গুরুত্ব অনেকটা ফিকে হয়ে পড়েছে।

Related Articles

Back to top button