আপনার মুখে অবাঞ্ছিত কিছু দাগ বা পুস্কুরী থাকে মুখের সব সৌন্দর্য্য যেনো নষ্ট করে দেয়। যখন আপনার শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে, তখন ব্রণ এবং পিমপ্লের সমস্যা দেখা দেয়। এটি সাধারণ, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে, তবে এটি মুখের সৌন্দর্যকে প্রভাবিত করে। তবে অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণেও ব্রণ হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে যেগুলো এই সমস্যার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে সক্ষম।
যেসব খাবার ব্রণ ও পিম্পেল কমায়:-
১) নারকেল জল:-
নারকেল জল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ ত্বকের জন্যও উপকারী। নিয়মিত নারকেল জল খেলে শরীরে তেলের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ব্রণ ও থেকে প্রাকৃতিকভাবে মুক্তি পাওয়া যায়।
২) শসা:-
খুব তৈলাক্ত বা মশলাদার খাবার খেলে ব্রণ ও পিম্পলের সমস্যা হতে পারে। এটি কাটিয়ে উঠতে, আপনাকে অবশ্যই আপনার ডায়েটে শসা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলিকে বের করে দেয়, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শসা একটি ডেটক্স কর্যেকারি খাবার।
৩) লেবু:-
লেবু ভিটামিন সি এর একটি সমৃদ্ধ উৎস, আপনি যদি এটি প্রতিদিন খান তবে এটি শরীর থেকে তেল শুষে নিতে সাহায্য করে। লেবুপাতা বা সালাদের সাথে লেবু খেতে পারেন, এতে মুখে অপূর্ব উজ্জ্বলতা আসে এবং ব্রণও চলে যায়।
৪) মসুর ডাল:-
ডাল প্রোটিন এবং ভিটামিনের একটি সমৃদ্ধ উত্স হিসাবে বিবেচিত হয়, যে কারণে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও এটি প্রতিদিন খাওয়ার পরামর্শ দেন। আসলে ডাল সিবাম উৎপাদনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। খেয়াল রাখবেন ডাল যেন বেশি তেল দিয়ে রান্না না হয়।
৫) ব্রকলি:-
ব্রকলিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। এ কারণে সবুজ শাকসবজি খেলে শরীরে অতিরিক্ত তেলের উৎপাদন কমে যায়। মনে রাখবেন ব্রকলি তেল দিয়ে বা কাঁচা খাবেন না, সিদ্ধ করে খেলেই পাবেন উপকার।
এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ভারত বার্তা এটি নিশ্চিত করে না।