Health Tips: এই ১টি ফল আপনার লিভারের সমস্যা দূর করবে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করবে
আজকের যুগে সকলের নিজেকে ফিট রাখা প্রয়োজনীয়। তাই সঠিক মাত্রার খাবার, পুষ্টিকর খাদ্য, যোগ ব্যায়াম ও ঘুমের দিকে খেয়াল রাখা উচিত। কিন্তু এত কিসু মিলিয়ে বাচা দুষ্কর হয়ে পড়ে ও স্ট্রেস বা সময়ের অভাবে আমাদের দেহ দিনে দিনে মেদ জমতে শুরু করে যা লিভার ও হার্ট দুটোর পক্ষে জানি কারক। আপনি যদি স্থূলতার শিকার হন এবং এর থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে এই খবরটি আপনার কাজে লাগবে। আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি একটি ফলের সন্ধান যা আপনাকে সাহায্য করবে। ফলটি হল পীচ এবং আপনাদের জানাবো এর উপকারিতা। পীচ ওজন কমাতে উপকারী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, ওজন কমাতে এবং পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে ব্যায়ামের পাশাপাশি পিচ খাওয়া খুবই উপকারী। ওজন কমানোর জন্য পীচ সেবন কিভাবে উপকারী এবং এটি খাওয়ার উপায় কি কি আসুন জেনে নিন:-
ওজন কমানোর জন্য পীচ; ডায়েট বিশেষজ্ঞ ডাঃ রঞ্জনা সিং বলেন, পীচ ওজন কমাতে উপকারী। ফাইবার সমৃদ্ধ, পীচে প্রায় 80 শতাংশ জল থাকে। পাকস্থলী ও লিভার থেকে টক্সিন দূর করতে এটি খাওয়া খুবই উপকারী। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য শরীরকে রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কাজ করে। পীচে ক্যালরির পরিমাণও অনেক কম, যার কারণে ওজন কমে।
পীচ সেবনের উপকারিতা গুলি:-
১) পীচের ৮০ শতাংশ জল তাই এটি শরীরকে ইউরিন ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে এবং শরীরে জলের অভাব পূরণ করে।
২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও পীচ উপকারী।পীচের ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে।
৩) পীচ খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি লিভারকে সুস্থ রাখে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এতে উপস্থিত গুণাবলী লিভারের ময়লা দূর করতে খুবই উপকারী। লিভারের প্রদাহ ও ইনফেকশন ইত্যাদি সমস্যায়ও পীচ নিরাময় করতে সক্ষম। লিভার সুস্থ রাখলে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪) পীচে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
ওজন কমাতে কিভাবে খাবেন পীচ:-
ওজন কমাতে প্রতিদিন সকালে জল খাবারে পীচ খাওয়া উচিত। আপনি মধ্যাহ্নভোজনে এবং সন্ধ্যার স্ন্যাকসের খাওয়ার সময় খাদ্যতালিকায় পীচ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।