ক্রিকেটের ইতিহাসে এমনই মন্তব্য খুব কম ক্রিকেটারের মুখ থেকে শোনা গেছে। শুনতে কিছুটা অবাস্তব মনে হলেও এমনটাই বললেন ভারতের প্রাক্তন স্পিনার হরভজন সিং। তিনি কোন ভনিতা না করে বলেন, “যদি ওই ম্যাচে সৌরভ গাঙ্গুলী আমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন না করাতো তবে আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস হত, সাথে নেতৃত্ব হারাতেন সৌরভ গাঙ্গুলী!”
হরভজন সিং চলতি শতাব্দীর শুরুতে অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফর নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন। শতাব্দীর শুরুতে অগ্নিপরীক্ষার মধ্যে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলকে, যখন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতের লজ্জাজনক পরাজয় ঘটেছিল। মুম্বাই টেস্টে বিরাট ব্যর্থতার পর কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দ্বিতীয় টেস্টে ভারত ইতিহাস গড়েছিল। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের সোনালী অধ্যায় গুলির মধ্যে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত।
যদিও সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ভারতের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। প্রথম ইনিংসে ফলো-অনে পড়তে হয় ভারতীয় দলকে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে সম্ভবত ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটেছিল। আরজে ঘটনা নির্মাণের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভিভিএস লক্ষণ এবং রাহুল দ্রাবিড়। সম্ভবত টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এই দুইয়ের জুটিতে সেরার সেরা পার্টনারশিপ গড়ে যান। ৩৭৬ রানের ম্যারাথন জুটি ম্যাচের রঙ বদলে দেয়। উক্ত ইনিংসে ২৮১ রানের ইনিংস উপহার দেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। যা সেই সময় টেস্টের দুনিয়ায় কোনও ভারতীয়র ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। ১৮০ রানে সাজঘরে ফেরেন রাহুল দ্রাবিড়।
ওই ম্যাচের টেস্ট ক্রিকেটে আরো একটি ইতিহাস লিখেছিলেন ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিং। ২০ বছর বয়সী হরভজন সিং প্রথম ইনিংসে হ্যাটট্রিকসহ দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩২ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট দখল করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ওই সিরিজে ৩২ উইকেট দখল করে ক্ষান্ত হন হরভজন সিং। আর হরভজন সিংয়ের বিধ্বংসী বোলিংয়ে সে যাত্রায় তিনি সহ বেঁচে যান সৌরভ গাঙ্গুলী।