নতুন মহাকরণ বা নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং থেকে এবারে সরে যাবে রাজ্য সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ত দপ্তরের নির্দেশে এই দপ্তর সরানোর কাজ শুরু হবে খুব শীঘ্রই। জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি, আবাসন, ক্রীড়া এবং যুব কল্যাণ, পর্যটন, লেবার ট্রাইব্যুনাল সহ একাধিক দফতরকে অন্যত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফাঁকা করা হয়েছে নব মহাকরণের ১ থেকে ৭ তলা পর্যন্ত। প্রায় ৫০০০০ বর্গফুটের মতো এই জায়গাতে এবার বসবে আদালত। এইজন্যই পরিকাঠামো নতুন করে তৈরি করার কাজ শুরু হবে খুব শীঘ্রই।
রাজ্যের নগর দায়রা আদালত তথা সিটি সিভিল কোর্ট সহ একাধিক আদালত এখন বেশ ঘিঞ্জি জায়গায় রয়েছে। তাই এবারে এই সমস্ত আদালতগুলিকে নিয়ে আসা হবে সরাসরি নব মহাকরণে। কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে কোন দপ্তর কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, সেই নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
আপাতত জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর সরানো হয়েছে বিধান নগরের পঞ্চায়েত ভবনে। মন্ত্রী পুলক রায় জনস্বাস্থ্য এবং পঞ্চায়েত উভয় দপ্তরের দায়িত্বে রয়েছেন। এই কারণে একই সঙ্গে এই দুই দপ্তরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিধান নগরের পঞ্চায়েত ভবনে। পাশাপাশি শ্রম প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এতদিন পর্যন্ত নব মহাকরণে বসতেন। তাকেও এবার অন্যত্র যেতে হবে।
বামফ্রন্টের জমানায় রাজ্য সরকারের প্রায় সমস্ত সরকারি দপ্তর মহাকরণে অর্থাৎ রাইটার্স বিল্ডিং এ ছিল। কিন্তু পরে মন্ত্রীসহ বেশ কিছু দপ্তরের আধিকারিকদের স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে সরকারি কাজে অসুবিধা শুরু হয়। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য তৈরি হয় নব মহাকরণ। এতদিন পর্যন্ত সেখানে এক থেকে সাত তলা পর্যন্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কর্মীরা বসতেন। তবে এবারে আদালতের কাজের জন্য পাকাপাকিভাবে সরানো হয়েছে দপ্তরগুলিকে। প্রত্যেকটি দপ্তর কোথায় কোথায় যাবে সেই নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে পূর্ত দপ্তর।