জীবনযাপনস্বাস্থ্য ও ফিটনেস

স্বামী স্ত্রীর যে ভুল গুলোর ফলে সন্তান জন্ম হয় না!

Advertisement

ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সোমনাথ বিশ্বাস : বন্ধ্যাত্বের অনেক কারণ আছে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে নারীর সন্তান ধারণ ক্ষমতা অনেকটাই কমে আসে। আর কি কি কারণে এমনটা হতে পারে, জেনে নিন বিস্তারিত-

১. অতিরিক্ত ওজনঃ অতিরিক্ত ওজন সন্তান না হওয়ার একটি অন্যতম প্রধান কারণ। এটি শরীরের হরমোনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে এবং নারীর সন্তান ধারণ ক্ষমতাকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে। এর ফলে নারীর জরায়ুর কার্যক্ষমতাও হ্রাস পায়।

২. রুগ্ন শরীরঃ অতিরিক্ত ওজন যেমন সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে তেননই খুব কম ওজনও একই সমস্যা সৃষ্টি করে। বেশি রোগা হলে নারীর দেহে ল্যাপটিন হরমোনের অভাব হয়। এই হরমোন ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরে এই হরমোনের ঘাটতি হলে ঋতুচক্রের সমস্যা হয়। তাই গবেষকদের মতে, উচ্চতা এবং ওজনের সামঞ্জস্য বজায় রাখুন।

৩. বয়স বেশি হওয়াঃ যখন নারীদের বয়স বেশি হয়ে যায় তারা আর সন্তান ধারণ করতে পারেনা। বয়স বেশি হলে ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে যায়। ঋতুচক্র একবারে বন্ধ হয়ে যাওয়াকে মেনোপজ বলে। মেনোপজ হয় সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে। তাই অধিকাংশ চিকিৎসকের মতে, ৩৫ বছরের আগে সন্তান নেওয়া উচিত। এর পরে সন্তান ধারণ কঠিন হয়ে পড়ে।

৪. মানসিক চাপঃ চিকিৎসকরা বলছেন, যেসব নারী দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকেন, তাঁদের সন্তান ধারণ ক্ষমতা অনেক কমে যায়। কারণ, মানসিক চাপ শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায়। আর এই মানসিক পরিবর্তন ঘটলেই সন্তান ধারণ ক্ষমতা কমে যায়।

৫. মদ্যপানঃ ২০০৪ সালে সুইডিশ বিজ্ঞানীরা ১৮ বছর ধরে মদ্যপান করেন—এমন সাত হাজার নারীর ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখেন, তাঁদের সন্তান ধারণক্ষমতা অনেক কমে গেছে। তাই গবেষকদের মতে, আপনি যদি সন্তান নিতে চান, তবে অবশ্যই মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।

৬. থাইরয়েড সমস্যাঃ  থাইরয়েডের সমস্যা গর্ভধারণকে ব্যাহত করে। থাইরয়েড থেকে অনেক হরমোন নিঃসৃত হয়। তাই থাইরয়েড জনিত কোনো সমস্যা হলেও সন্তান ধারণ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

৭. অতিরিক্ত ক্যাফেইন খাওয়াঃ যারা অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় জিনিস খায়, তাদের গর্ভধারণে সমস্যা হয়। যারা দিনে পাঁচ কাপের বেশি কফি পান করেন, তাঁদের এ সমস্যা হয়। তাই সন্তান নিতে চাইলে কফিপান কমিয়ে দেওয়ার পক্ষেই মতামত গবেষকদের।

৮. স্বাস্থ্যগত সমস্যাঃ বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা যেমন, পলিসাইটিক ওভারি সিনড্রোম, সিস্ট, এনডোমিটট্রিওসিস—এসব বিষয় অনেক সময় নারীর বন্ধ্যত্বের জন্য দায়ী। রিউমাটোয়েড আর্থ্রাইটিসও অনেক সময় এর কারণ হয়। তাই এসব সমস্যা হলে আগে থেকে চিকিৎসা করাতে হবে, নয়তো সন্তান ধারণ করতে সমস্যা হতে পারে।

Related Articles

Back to top button