অফবিটজীবনযাপন

অনলাইনে পর্ন ভিডিও দেখে ভাইয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, গর্ভবতী ১৫ বছরের কিশোরী

Advertisement

করোনা আর লকডাউন যার জেরে বড় দের মতো বাচ্চারা ঘরবন্দী। স্কুলের পড়াশোনার বদলে ল্যাপটপে চোখ। বাড়িতেই চলছে অনলাইন পড়াশোনা। তবে এই অনলাইন যে শিশুদের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত তা প্রমাণ মিললো রাজস্থানের আলওয়ার জেলায়। অনলাইন পড়াশোনার সময় ভাই বোনের চোখ যায় গুগলের পর্ন সাইটে। এই সাইটের কার্যকলাপকেই খেলা হিসেবে নিয়ে নেয় ভাই বোন। এই ভাই বোন এখন এক শিশুর জন্মদাতা।

হ্যাঁ অবাক লাগলেও সত্যি। রাজস্থানের ওই কিশোরীর বয়স ১৫ বছর আর তাঁর নাবালক ভাইয়ের বয়স ১৩ বছর। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সে। কিশোরীর ভাইয়ের বয়স ১৩ বছর। সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই পড়াশোনার নাম করে দুজনে পর্ন ভিডিও দেখতো। স্মার্টফোনে প্রথমবার পর্ন ভিডিও দেখে ওই কিশোর। তারপর খেলার ছলেই দিদি আর ভাই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এরপরই ১৫ বছরের নাবালিকা গর্ভবতী হয়ে যায়। ফলে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর শরীরে অনেকটাই পরিবর্তন ঘটতে থাকে।

প্রথম দিকে পরিবারের কেউ বুঝতে না পারলেও পরের দিকে ওই কিশোরীর ঠাকুমা বুঝতে পারেন। শুরুর পর বিষয়টি সবার নজরে আসে। এরপরই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। তখনই পরীক্ষার রিপোর্টে তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আসে। কিন্তু তখনও কেউ ভাবতে পারেনি এই ঘটনার জন্য দায়ী কিশোরীর নিজের ভাই। অনেকক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পরই আসল তথ্য প্রকাশ্যে আসে।

আসল সত্যি জানতে পেরে পরিবারের সবার মাথায় হাত। জানা গেছে, ওই কিশোরীর পরিবার মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। কাজের জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে সকল্ব রাজস্থানে থাকছে। এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হতেই রাজস্থানের সেবাগ্রাম থানায় জিরো এফআইআর দায়ের করেছে ভিওয়ান্ডি থানার পুলিশ। এই খবর প্রকাশ্যে আসতে অনেকেই এই অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থাকে দোষারোপ করছে।

উল্লেখ্য, মহামারি পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসই ভরসা সকল শিক্ষার্থীদের। এজন্য অনেক বাড়িতেই না চাইতেই এখন স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব আর সাথে ইন্টারনেট ব্যবস্থা সবই হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছে। আর বহু জন নিজের অজান্তেই পর্ন ভিডিও দেখে ফেলছে বা নিষিদ্ধ কোনও সাইট খুলে ফেলছে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনে চাইল্ড প্রোটেকশন অন রাখার কথা৷ তবে আমাদের দেশে অনেকেই প্রযুক্তির বিষয়ে অতটা ওয়াকিবহাল নন। তাই মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিশুদের উপর কড়া নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে।

Related Articles

Back to top button