অক্ষয়ের সঙ্গে টুইঙ্কলের প্রথম দেখার স্থান ছিল একটি ফিল্ম ম্যাগাজিনের ফটোশ্যুট। সেখানেই টুইঙ্কলকে প্রথমবার দেখেন অক্কি। দেখা মাত্রই তাঁর প্রেমে পড়ে যান অক্ষয়, আর এই কথা বহুবার ও বহুজায়গায় স্বীকার করেছিলেন বলিউডের ‘খিলাড়ি’।
অক্ষয়ের প্রেমে মজেছিলেন অনেকেই। রবিনা থেকে প্রিয়াঙ্কা, এমনকি কাজলের ক্রাশ ছিলেন অক্ষয় কুমার।
প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে অক্ষয় শেষ ছবি করেছেন ২০০৫ নাগাদ। সেইসময় নাকি টুইঙ্কল খান্না প্রিয়াঙ্কার উপর বেজায় চটেছিলেন। প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে স্বামীর সম্পর্কের রসায়ন একদম মেনে নিতে পারেননি টুইঙ্কল খান্না। ‘অ্যায়েতরাজ’ ছবির শুটিং চলাকালীন প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলেন অক্ষয়। তবে টুইঙ্কল এই ব্যপারটি বেশ শক্ত হাতেই সামলান।
বলিউড থেকে প্রায় বিদাই নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা, কিন্তু অক্ষয়ের কেরিয়ার ফুলে ফেঁপে উঠছে। অবশ্য এই সবের কৃতিত্ব অক্ষয় তাঁর স্ত্রীকেই দেন।
স্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ অক্ষয় একবার ‘কফি উইথ করণ’ শো-তে করণ জোহরকে জানান, ২০০০ সালে টুইঙ্কল অভিনীত ‘মেলা’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। অক্ষয়কে টুইঙ্কল জানান , ছবিটি ফ্লপ হলে তবেই তিনি অক্ষয়কে বিয়ে করবেন, নয়তো কেরিয়ার নিয়ে এগিয়ে যাবেন। ‘মেলা’ ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে।
এরপর বিয়ে হয় এই দুই জুটির। ২০০১ সালে খুব ঘরোয়া আসরে বিয়ে হয় টুইঙ্কল ও অক্ষয়ের। মাত্র ৫০ জন আমন্ত্রিত ছিলেন সেই বিয়েতে।
এদিকে, বিয়ের প্রথম রাতেই অক্ষয় বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি কখনই টুইঙ্কেলকে হারিয়ে জিততে পারবেন না।