অনলাইনে কেনাকাটা করার সময় আপনাকে ঠকানো হচ্ছে, ফাঁদে পা দিয়ে নিজের অজান্তে দিয়ে দিচ্ছেন বেশি টাকা
অনেকেই প্রায়ই অনলাইনে কেনাকাটা করেন। সবাই নিয়মিত না হলেও মাঝে মাঝে অনলাইনে কেনাকাটা করেন। অনলাইন কেনাকাটায় গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করতে ই-কমার্স কোম্পানিগুলো ডার্ক প্যাটার্ন ব্যবহার করে, যা এক ধরনের স্ক্যাম। এখন সরকার তা বন্ধ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। ডার্ক প্যাটার্ন বন্ধ করতে পারে এমন একটি অ্যাপ বা সফটওয়্যার তৈরি করতে যাচ্ছে সরকার। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ডার্ক প্যাটার্ন বাস্টার হ্যাকাথন চালু করেছে যা ২০২৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বারাণসীর আইআইটি-বিএইচইউতে অনুষ্ঠিত হবে। এর আওতায় পাঁচটি বিজয়ী দলকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ পুরস্কার ও কৃতিত্বের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
ডার্ক প্যাটার্নটি কী এবং কীভাবে ই-কমার্স সংস্থাগুলি এর সাহায্যে আপনাকে বিভ্রান্ত করে?
আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে অনেক সময় আপনি যখন বিমানের টিকিট অনুসন্ধান করেন, তখন সমস্ত সিট পূর্ণ দেখতে পান, কিন্তু বাস্তবে এটি ঘটে না। আসনগুলি খালি থাকে তবে গ্রাহকদের দেখানো হয় যে আসনগুলি দ্রুত পূরণ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহক তাৎক্ষণিকভাবে টিকিট বুক করেন এবং বেশি দামে টিকিট কিনে থাকেন। এটিও ডার্ক প্যাটার্নের একটি অংশ।
অনেক সময় আমরা যখন সিনেমার টিকেট বুক করি তখন সাইটে দেখা যায় মাত্র কয়েকটি আসন খালি এবং ফলে আমরা দ্রুত টিকেট বুক করি। সিনেমা হলে গিয়ে দেখা যায় মাত্র কয়েকটি আসন পূর্ণ, বেশিরভাগ সিট খালি। ডার্ক প্যাটার্ন গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করার একটি উপায়। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যখন ফ্লিপকার্ট এবং অ্যামাজনে কোনও পণ্য অনুসন্ধান করেন, তখন তার দাম অন্য কিছু দেখায়, তবে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করার সাথে সাথে দামটি আলাদা হয়ে যায়। আরেকটি উদাহরণ, ই-কমার্স সংস্থাগুলি দাবি করেছে যে তারা পণ্যটিতে ৭০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। এই ডিসকাউন্ট পণ্যের এমআরপি অনুযায়ী হলেও বাস্তবতা হলো এমআরপিতে কোনো ইলেকট্রনিক পণ্য বিক্রি হয় না।