ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক প্রতিভা আমরা লুপ্ত হয়ে যেতে দেখেছি। আবার অনেক প্রতিভা সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশের আগে কোথাও যেন হারিয়ে যায়। বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক অভিনেত্রী তাদের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে বেশ ভালো জায়গা দখল করলেও অকাল মৃত্যু ঘটে তাদের। এত প্রতিভা বিস্তারের সুযোগ আর তারা পায় না। এরকমই বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অকাল মৃত্যু ঘটে আর অভিনেত্রীর। সৌন্দর্য নামে এক দক্ষিণী নায়িকা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন এবং প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেছিল। সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও তিনি খুবই জনপ্রিয় ছিলেন।
বলিউডের প্রথম সিনেমা ছিল জনপ্রিয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সাথে। ১৯৯৯ সালে সূর্যবংশ নামে জনপ্রিয় সিনেমাটিতে তিনি অভিনয় করে। বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন কে এবং টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি কে এই সিনেমাতে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা যায়। অমিতাভ বচ্চন এর স্ত্রীর ভূমিকায় রাধা নামে চরিত্রটি করেছিল এই অভিনেত্রী। তিনি ছিল সাউথের বাসিন্দা। তার আসল নাম ছিল এ কে এস সৌম্য সত্যনারায়না।
তিনি কন্নড় ভাষায় দীপা নামে একটি ছবি করেন। ২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি, এবং জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল এই ছবিটি। সৌন্দর্য নিজেই এই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন। এরপর তিনি এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জি এস রঘুর সাথে বিবাহ করে। এরপর অভিনেত্রী রাজনীতিতে যোগ দেয়। বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল।২০০৪ সালে তার সাথে ঘটে এক রহস্যময় ঘটনা। দিনটি ছিল ১৭ ই এপ্রিল একটি বিমান এ তিনি এবং তার ভাই অমরনাথ চড়ে যাত্রা শুরু করে।কিন্তু বিমান টি মাটি থেকে প্রায় ১০০ ফুট উচ্চতায় উঠে এয়ারএফেক্ট এ আগুন ধরে যায় এবং তার ভাই অমরনাথ ও অভিনেত্রী মারা যায়। সেই সময় থেকে একটি দুর্ঘটনা বলে চিহ্নিত করা হয় এই ঘটনাটি। তবে পরে তদন্তের মাধ্যমে জানা যায় এক রহস্যের কথা। অভিনেত্রীর সমস্ত সম্পত্তির উইল তিনি তার বিয়ের দুমাস আগে করে। তার বিবাহের ৮ বছর পর এই সত্য সামনে আসে। তার অবর্তমানে তার সম্পত্তির বেশ বিরাট অংশ রেখেছিল তার স্বামীর নামে। এবং বাকি দুই অংশ তার মা ও ভাইয়ের জন্য ছিল।তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই তার মৃত্যুর পেছনে রঘুর পরিবারের উপর সন্দেহ তীব্র হচ্ছে। ২০১১ সালে রঘু দ্বিতীয়বার বিয়ে করে। তবে এখনও সৌন্দর্যের মৃত্যুর রহস্য বিষয়ে কোনও সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।