Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

‘কত বড় সাহস?’ নন্দনে ঘরভর্তি লোকের সামনেই প্রসেনজিৎকে শাসন করলেন অনামিকা সাহা

Updated :  Sunday, June 16, 2024 8:08 PM

শনিবার নন্দনে ‘অযোগ্য’ স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে হাজির ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের রথী-মহারথীরা। সেখানেই হঠাৎ করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে তেড়ে গেলেন অভিনেত্রী অনামিকা সাহা। বলে উঠলেন, “‘কত বড় সাহস তোমার?'” এই ঘটনায় চমকে উঠেছিলেন বুম্বাদা। পাশে দাঁড়ানো ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থতমত খেয়ে গেলেন। পরে সমস্ত ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন অনামিকা সাহা। যা নিমেষে ভাইরাল হয়েছে।

কী ছিল আসলে ব্যাপার?

আসলে শনিবার নন্দনে নিজের পর্দার মায়েদের নিয়ে পৌঁছেছিলেন প্রসেনজিৎ। নব্বই এমনকী এই শতাব্দীরও গোড়ার দিকে প্রসেনজিতের অসংখ্য ছবিতে মা অথবা শাশুড়ি মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনামিকা সাহা। প্রিয় ‘বুম্বা’র আমন্ত্রণে তিনিও পৌঁছেছিলেন ‘অযোগ্য’ দেখতে। সেখানেই পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করলেন অনামিকা সাহা।

পিছনে দাঁড়িয়ে পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী। তাঁর পরিচালনাতেই ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। যে ছবি বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। এই ছবিতে ঋতুপর্ণার মা, এবং প্রসেনজিতের শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অনামিকা সাহা।

‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ সিনেমার বিনোদিনী রায়ের মেজাজেই তিনি ‘সোমু’র (প্রসেনজিৎ অভিনীত চরিত্র) উদ্দেশে বলে উঠলেন, “‘এই! তোমার কত বড় সাহস? কী আছে তোমার কাছে? তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইছ? এত বড় সাহস তোমার। চাল নেই, চুলো নেই… অপদার্থ একটা। যাও এখান থেকে বেরিয়ে।'” জাঁদরেল শাশুড়ির এই কীর্তি দেখে দু-পা পিছিয়ে যান প্রসেনজিৎ। পরে অবশ্য অনামিকা সাহা নিজেই হো হো করে হেসে ওঠেন, এবং প্রসেনজিৎকে জড়িয়ে ধরেন।

জানলে হয়ত অবাক হবেন, বয়সে প্রসেনজিৎের চেয়ে মাত্র ৬ বছরের বড় অনামিকা দেবী। আজ থেকে ২৪ বছর আগে যখন ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ ছবিতে কাজ করেছিলেন তখন অনামিকার বয়স ছিল ৪৪ (অনামিকা সাহার জন্ম ১৯৫৬ সালের ২৬ নভেম্বর) এবং প্রসেনজিতের ছিল ৩৮। অভিনয়ের লোভ ছিল বরাবর। তাই মাত্র ২৯ বছর বয়স থেকেই বড় পর্দায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা শুরু করেছিলেন অনামিকা সাহা। ফ্যান-ভাত খেয়ে মোটা হয়েছিলেন শরীরে বয়সের ছাপ আনতে। কারণ বিয়ের পর পর্দায় রোম্যান্সে বাধ সাধে শ্বশুরবাড়ি। অগত্যা প্রায় সমবয়সী কিংবা বয়সে বড় নায়কদেরও ‘মা’ হয়ে ওঠেন অনামিকা। এর জন্য কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর।