শ্রেয়া চ্যাটার্জি- শ্মশানকালী দশমহাবিদ্যার প্রথম বিদ্যা কালী বা কালিকার আরেক রূপ। তিনি নিরাকার ও সাকার দুই হতে পারেন। তার অবস্থান শ্মশানে। শাস্ত্র রচনাকাররা মনে করেন, তান্ত্রিক কুল ছাড়া এই শ্মশানকালীর পূজা করা বা এর প্রকৃত মর্ম উপলব্ধি করা একেবারেই অসম্ভব।
শ্মশান কালীর রূপ : এই দেবী অঞ্জন পর্বতের ন্যায় কৃষ্ণবর্ণ শুষ্ক শরীরবিশিষ্ট। চক্ষু রক্তিমাভ। কেশ আলুলায়িত। ডান হাতে সদ্য ছিন্ন নরমুণ্ড। বাহাতে নরমুণ্ড নির্মিত পানপাত্র। সব রূপী সদাশিবের উপরে তিনি দণ্ডায়মান। কপালে অর্ধচন্দ্র শোভিতা।
কালীর সব রূপই মোটামুটি শ্মশানবাসিনী, তবে গৃহস্থের মূলত পূজিতা হন দক্ষিণাকালী বা রক্ষাকালী । শ্মশান কালী পূজিত হন শ্মশানেই। শ্মশান কালীর পুজোতে তান্ত্রিক মাছ, মাংস এবং মদ্য দ্বারা পূজা করে থাকেন। শাস্ত্রীয় মতে, সদগুরু সাহায্য পেলে তবেই এর প্রকৃত রূপ উপলব্ধি করা যায়। এই পুজোর মন্ত্র দক্ষিণা কালীর মন্ত্র থেকে একটু আলাদা হয়। তবে মূল কালীর মন্ত্র এক এবং অভিন্ন।