উজ্জ্বল ত্বক কে না চায় না? চাঁদে কলঙ্ক থাকলেও চাঁদের সঙ্গে সৌন্দর্যের তুলনা চলে। কিন্তু, বর্তমান সময়ের পরিবেশ দূষণ, অতিরিক্ত চিন্তা, কাজের চাপ, অনিয়ন্ত্রিত ভুরিভোজ, জল কম খাওয়া এইসব অকালেই বার্ধক্যকে ডেকে আনছে যেমন, তেমনই ত্বক হয়ে যাচ্ছে মলিন, শুষ্ক। এছাড়াও, বাজার চলতি প্রোডাক্টের দিনের পর দিন ব্যবহারের ফলে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য চাপা পড়ে যাচ্ছে। ক্ষনিকের সৌন্দর্যের জন্য ত্বক ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, এই সমস্যাগুলোর সমাধান আছে। আপনিও পেতে পারেন উজ্জ্বল মসৃণ ত্বক এক নিমিষে। এর প্রতিবেদন আপনাকে একটি গোপন রহস্যের কথা জানাবে যা আপনাকে রাতারাতি চাঁদের মতন সুন্দর করে তুলতে পারে।
খাঁটি গরুর দুধের তৈরি ঘি তে থাকে একাধিক পুষ্টিগুণ, যেমন এতে থাকে ভিটামিন ডি,ভিটামিন ই,ভিটামিন কে,ব্রেন টনিক,এন্টি অক্সিডেন্ট,ব্যাটাইরিক অ্যাসিড,ফ্যাটি অ্যাসিড,কনজুগেটেড লিনোলিক এসিড এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এর মতন বহু উপাদান। কিন্তু, এখনও কিছু মানুষের ভুল ধারণা আছে ঘি সম্পর্কে। তারা মনে করে ঘি খেলে মোটা হয়ে যায়। কিন্তু, এটা একেবারেই সঠিক নয়। রোজ এক চা চামচ ঘি যদি পাতে থাকে তাহলে শরীর ভেতর থেকে তরতাজা হয়ে উঠবে। ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল। তবে, আজকের এই প্রতিবেদনে ঘি খাওয়া নিয়ে বলবো না, এই ঘি শুধু মাত্র পায়ে ব্যাবহার করেই আপনি পেতে পারেন দুর্দান্ত রেজাল্ট।
ঘি দিয়ে ফুট ম্যাসাজ (Foot Massage With Desi Ghee) : ঘি এর উপকারিতা সকলের জন্য সমান। আমরা দেখেছি যে শিব লিঙ্গে কাচা দুধ ও ঘি দিয়ে জল ঢালা হয়। কারণ এর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার একটি পাথরকে মসৃণ ও ঠান্ডা রাখে। সেরকমই শরীরকে মসৃণ রাখতে চাইলে ঘি ব্যাবহার করা যেতে পারে। এরজন্য দরকার একটি জাদুকরী ম্যাসাজ।
রোজ খাবার সময় গরম ভাতে ঘি যেমন রাখতে পারেন তেমনই রাত্রে ঘুমনোর সময় পায়ে ঘি ম্যাসাজ করতে পারেন। বাড়ির কাউকে বললেন হাতে সামান্য ঘি নিয়ে পায়ের তলায় ভালো করে মালিশ করে দিতে। শুধু মাত্র পায়ের তলায় যদি মিনিট পাঁচেক মালিশ করা যায় তাহলেই পাবেন ম্যাজিকের মতন রেজাল্ট। যেমন আপনার ঘুম হবে দুর্দান্ত, ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও তরতাজা। শুধু ত্বক নয়, ঘি মালিশ করলে নাক ডাকার প্রবণতাও কমে, শরীর গরম হয় আর মনে শিথিলতা আসে।