শ্রেয়া চ্যাটার্জি – বাড়িতে ফোন নেই তাই ফর্ম ফিলাপ হলো না। বর্ধমান ওমেন্স কলেজের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্রী সুমিত্রা সোরেন এর স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজ গুলিতে আরম্ভ হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে স্নাতক স্তরের ষষ্ঠ সেমিস্টারের পরীক্ষা। কিন্তু সুমিত্র থাকে এক প্রত্যন্ত গ্রামে সেখানে সে খবর পৌঁছায়নি। কিন্তু পড়াশোনার জন্য প্রতিদিন লড়াই করেও শেষ মুহূর্তে পরীক্ষায় আসা হলনা সুমিত্রার।
করোনাভাইরাস এর জেরে পুরো পঠন-পাঠন ব্যবস্থাটাই এখন অনলাইনের মাধ্যমে সংগঠিত হচ্ছে। এর জন্য প্রয়োজন স্মার্ট ফোন। কিন্তু যাদের দুবেলা-দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা হয় তাদের কাছে তো স্মার্ট ফোন স্বপ্নের মত। স্মার্ট ফোন না থাকায় কিভাবে এক কন্যার স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যেতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ সুমিত্রা সোরেন।
সুমিত্রার কলেজের টিচার ইনচার্জ মল্লিকা চক্রবর্তী এ বিষয়টিতে যথেষ্ট দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী, ফর্ম ফিলাপ না হলে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারেন না। সেক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিয়মের বেড়াজালে বাধা। কিন্তু মানবিকতার দিক থেকে দেখতে গেলে সত্যিই বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক। যেখানে গোটা পৃথিবী এখন মুঠোফোনের ওপর নির্ভরশীল সেখানে মুঠোফোন না থাকার দরুন একটা জ্বলন্ত প্রদীপ এমন নিভে যাবে তা সত্যিই ভাবা যায় না। অগত্যা পরেরবার আবার তাকে পরীক্ষায় বসতে হবে।