মানুষ একটি সামাজিক প্রাণী। একটি শিশু জন্মের পর, সমাজ বলতে তার পরিবারকেই চেনে। পরিবার পরিজন ছাড়া মানুষ অচল। আপনজন না থাকলে কোনো সুখের সময়ও ভালো লাগে না। কিন্তু কিছু ছোট ব্যাপার নিয়ে যখন আপনজনের সঙ্গে বিবাদ হয় সেটি বেদনাদায়ক।
মানব জীবনে সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমতাবস্থায় তাদের গুরুত্ব বোঝা খুবই জরুরী যে বুঝে না তার জীবনে দুঃখ নেমে আসে। কখনো দেখা যায় কিছু কিছু বাড়িতে পারিবারিক কলহ এতটাই বেড়ে যায় যে একসঙ্গে বসবাস করেও মানুষ দূরে চলে আসে। এর কারণে ঘরের পরিবেশ টানটান উত্তেজনাপূর্ণ থাকে, যা শিশুদের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। এতে শিশুদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি বাড়ির বয়স্ক হিসেবে রোজকার ঝগড়া কম করার ও পরিবারকে সুখী রাখা আপনার দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়। চলুন জেনে নিই কিভাবে সম্পর্কের মাঝে মাধুর্য আনা যায়।
কিভাবে পারিবারিক দ্বন্দ্ব কমানো যায় আমরা তার উপায় বলতে চলেছি। আসুন জেনে নিন কি কি করণীয় একটি সুন্দর ও সুখী পরিবার পেতে:-
১) অপরের দৃষ্টিকোণ বুঝবার চেষ্টা করুন:-
যেকোনো কাজ করার পেছনে প্রত্যেকেরই নিজস্ব ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনাকে পরিবারে অন্য সদস্যের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে হবে। আপনি যদি এই মনোভাব অবলম্বন করেন তবে অর্ধেক বিরোধ স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেষ হয়ে যাবে। আপনি যদি কিছু পছন্দ না করেন তবে এর অর্থ এই নয় যে অন্য কেউ এটি পছন্দ করে না।
২) পরিবারের সকলের সঙ্গে পরামর্শ করুন:-
জীবনে বা কাজে কোনো বাঁধা, সমস্যা এলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলুন। কোনো বিপদে পরে নিজে কিছু উপায় খুঁজে না পেলেও বাড়ির সদস্যদের সাথে শেয়ার করুন। এতে আপনার মনের বোঝা হালকা হবে এবং দুশ্চিন্তা ও চাপও কমবে। এতে পরিবারে যোগাযোগেরও উন্নতি হবে এবং সুন্দর রূপে সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।
৩) উচ্চস্বরে কথা বলবেন না:-
পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে কোনো বিষয়ে মতবিরোধ হলে তাকে নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করবেন না। এতে করে পরিবেশ ও ব্যাপার দুটোই খুব খারাপ হয়ে যায়। ঘরের সমস্যাগুলো সবসময় নিচু গলায় সমাধান করুন।
৪) ভুল সিদ্ধান্তে সাথ দেবেন না বরং অপরকে বুঝিয়ে কথা বলুন:-
আপনি যদি মনে করেন যে কারো কথা বা কোনো কাজ ঠিক নয়, সে ভুল করছে, পরিবারের জন্যে সেটি ক্ষতিকর, তাহলে তাকে একেবারেই সমর্থন করবেন না, বরং তাকে বুঝিয়ে বলুন, তার কী ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু তাকে আদর যত্নের সঙ্গে বুঝাতে হবে, ঝগড়া করে বা রাগ নিয়ে নয়।