বর্তমানের কর্মব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন নিয়ম করে নিজের এবং ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না। তবে সম্ভব না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিতেই হয়। আর তা নাহলে ত্বক নিজের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। দেখা দেয় নানা সমস্যাও। এক্ষেত্রে ব্রণ, চোখের তলায় কালি পরা কিংবা ত্বকের অপ্রত্যাশিত দাগের সমস্যা অন্যতম।
সুফল-
১) হলুদে কারকিউমিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি রয়েছে। এটি ত্বকের যেকোনো রকম সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
২) হলুদে অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ বর্তমান রয়েছে। এটি ব্রণর সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের প্রদাহকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৩) হলুদে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বর্তমান থাকে, যা মেলানিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। আর সেই কারণবশতই ত্বকের দাগ দূর হয় অনেকটাই। পাশাপাশি ত্বক থেকে রোদের পোড়াভাবও দূর করে
৪) হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ও স্কিন-লাইটিং’এর বৈশিষ্ট্য বর্তমান রয়েছে। এটি চোখের তলার কালি দূর করায় কার্যকরী।
হলুদযুক্ত ঘরোয়া ফেসপ্যাক-
১) মুলতানি মাটি, হলুদ ও গোলাপ জল- একটি পাত্রে পরিমাণ মতো মুলতানি মাটি, একেবারে সামান্য পরিমাণে হলুদ ও অল্প গোলাপ জল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে একটি প্রলেপ বানিয়ে নিতে হবে। এই প্রলেপ ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব দূর করে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতাকে বজায় রাখে।
২) চন্দন গুঁড়ো, হলুদ ও গোলাপ জল- একটি পাত্রে পরিমাণ মতো চন্দন গুঁড়ো, এক চিমটে হলুদ ও অল্পপরিমাণে গোলাপ জল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে একটি প্রলেপ বানিয়ে নিতে হবে। এতে নিমের গুঁড়োও মেশানো যেতে পারে। এই প্রলেপ ত্বকের একাধিক সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
৩) টকদই ও হলুদ- একটি পাত্রে পরিমাণমতো টকদই ও অল্পপরিমাণ হলুদ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে যদি ত্বকে ১০-১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখা যায় তাহলে, তা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি ত্বককে কোমল রাখতেও সহায়তা করে এটি।
৪) পাতিলেবু ও হলুদ- প্রথমে একটি পাত্রে এক চা চামচ হলুদ ও কয়েকফোঁটা পাতিলেবুর রস নিয়ে নিতে হবে। পরে তার মধ্যে কিছুটা জল মিশিয়ে ভালো করে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। এবার সেটি ত্বকে প্রয়োগ করেই অন্তত ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলে, ঠান্ডা পরিষ্কার জল দিয়েই ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে মুখ।