একটা বাংলা ধারাবাহিকের সময় সীমা ৩০ মিনিট হলেও সেই ৩০ মিনিট অভিনয় করা খুব হাল্কা কাজ নয়। দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার জন্য অভিনেতা অভিনেত্রীরা তাদের সারাদিনের প্রায় ৮-১০ ঘন্টা অতিবাহিত করেন। এমনকি কলাকুশলীরা নিজেদের শারীরিক অসুস্থতা আর ব্যক্তিগত জীবনেত নানান সমস্যা দূরে সরিয়ে সাধারণ মানুষকে সেই ৩০ মিনিট বিনোদন দেওয়ার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করে থাকেন।
এরকমই এক ঘটনা ঘটলো শ্রুতি দাসের সাথে। শ্রুতির থেকে তিনি এখন নোয়া হিসেবে বেশি খ্যাত। তিনি এখন ১০১ জ্বর আর শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে হাসিমুখে ধারাবাহিকের আউটডোর শ্যুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন। তবুও নিজের অসুস্থতা বুঝতে দিছেন না কাউকে। শারীরিক সমস্যাত কথা ভুলে ক্যামেরার সামনে দর্শকের প্রিয় নোয়ার চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।
তবে নিজের জ্বরের কথা অভিনেত্রী নিজের মুখে স্বীকার করেননি। অভিনেত্রী নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে একটি আউটডোর শ্যুটিং এর ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রাহুল ওরফে রাজার মেক আপ চলছে, অন্যদিকে কিয়ান ওরফে দিব্যজ্যোতি নিজের কাজে ব্যস্ত আর কিয়ান। আর সেই সুযোগে নোয়া ওরফে শ্রুতি খোলা চুলে আর হাসি মুখে পোজ দিচ্ছেন ক্যামেরার সামনে। ক্যপশানে লিখলেন, ‘ আউটডোর, রোদ, ঘাম, শরীর খারাপ এই এত কিছুর সমস্যা থাকলেও, ‘সামনে সামনে ক্যামেরা দেখলে পোজ দিতে হয় নয়ত পাপ হয়।” মজার ছলেই শ্রুতির ওই পোস্ট।
এই ছবি দেখে অনেকেই প্রশংসা করেন অভিনেত্রীর। তবে এর মাঝেই অভিনেত্রীর এক নিকট আত্মীয় লিখলেন,’ কি আর বলবে দেখে ওইরকম ১০১ জ্বর আর ওরকম ঠান্ডা লাগা। ব্যাস এরপরেই অভিনেত্রীর জ্বরের কথা প্রকাশ্যে আসে। অভিনেত্রী অভিনয়কে কতটা ভালোবাসেন যে শারীরিক কষ্ট নিয়েও টানা আউটডোর অভিনয় করে চলেছেন তা এই ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে। এরপর বহু অনুগামী অভিনেত্রীকে ভালোবাসা জানিয়েছেন। বহু নেটিজেন অভিনেত্রীর এই সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও অভিনেত্রী শ্যুটিং চলাকালীন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ১৪ দিন আউসোলেশনে থাকার পর ফের সেটে এসে অভিনয় শুরু করেন। খুব স্বল্প সময়ে অভিনয় করে শ্রুতি সকলের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন।