মুখের ব্রণ তুলতে টুথপেস্ট ব্যবহার করছেন? তাহলে এই ভুলগুলি করছেন আপনি
টুথপেস্ট যদি আপনি আপনার মুখের ব্রণ তোলার ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন তবে তা অত্যন্ত খারাপ একটি পদক্ষেপ হতে চলেছে
ভারতবর্ষে বহু মানুষ ত্বকের সমস্যায় নাজেহাল। গরম জল, লেবুর রস দিয়ে বারংবার ত্বক পরিষ্কার করছেন, ফেসওয়াশ ব্যবহার করছেন, নামিদামি কোম্পানির ফেস লোশন ব্যবহার করছেন, কিন্তু কিছুতেই কিছু কাজ হচ্ছে না। স্কিনে ব্রণ, ফুসকুড়ি থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে ভারতীয় মেয়েরা এই ধরনের পিম্পল এর সমস্যায় অত্যন্ত জর্জরিত।
আপনারা অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন ব্রন দূর করার জন্য টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হয়। টুথপেস্টে নাকি এমন কিছু জিনিস থাকে যা খুব সহজে ব্রণ তুলতে পারে। কিন্তু কথাটা কি ঠিক? বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়া যদি ত্বকের উপর টুথপেস্ট জাতীয় কোন জিনিস ব্যবহার করে দেন তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা খুব খারাপ হবে। টুথপেস্ট একটি সম্পূর্ণ রাসায়নিক পদার্থ। এটি বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, যেগুলি দাঁত পরিষ্কার করতে কাজে লাগে।
যদি আপনি হঠাৎ করে ব্রণ অথবা কালো দাগ দূর করার জন্য প্রথম ব্যবহার করেন তাহলে সেটা আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত খারাপ হবে। অনেকেই বলেন, এই জিনিসটি ব্যবহার করলে নাকি খুব তাড়াতাড়ি ব্রন এবং ফুসকুড়ি জাতীয় জিনিস চলে যায়। কথাটা একেবারেই ভুল, টুথপেস্টে এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা আপনার ত্বকের মেলানিন এর সঙ্গে বিক্রিয়া করতে পারে। তার ফলে আপনার ত্বক অত্যন্ত খারাপ হয়ে যাবে।
তার সঙ্গে বহু টুথপেস্ট এমন থাকে যেখানে মিন্ট এক্সট্রাক্ট ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের জিনিস ব্যবহার করলে সেগুলি আপনার শরীরের উপরে খারাপ প্রভাব ফেলে। যে জায়গায় আপনি টুথপেস্ট ব্যবহার করেন সেখানে জ্বালা ভাব তৈরি হতে পারে। কালো ছোপ পড়তে পারে। শুধুমাত্র দাঁত পরিষ্কার করার জন্য এই টুথপেস্ট তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু মুখের পিএইচ ব্যালেন্স আপনার দাঁতের থেকে একটু অন্যরকম।
দাঁত পরিষ্কার করতে পারে মানেই কিন্তু সেই জিনিসটি আপনার মুখ থেকে ব্রণ ও তুলে দেবে সে রকম কিন্তু না, টুথপেস্ট এর মাধ্যমে শুধুমাত্র দাঁত সুরক্ষিত থাকবে। টুথপেস্টে অনেক ধরনের ক্ষারকীয় পদার্থ এবং অনেক আম্লিক পদার্থ উপস্থিত থাকে। তাই এইগুলি আপনার শরীরের পক্ষে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। আপনার ত্বকের উপরের অংশ থেকে জল টেনে নিয়ে ত্বক রুক্ষ করে দেয়। এছাড়াও পেস্ট ব্যবহারের ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর, তখন মুখে ব্রণ কমার থেকে উল্টে আরো ব্রণর পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।