Eating Habit: খাবার সময় কথা বলতে বারণ করেন বাড়ির বড়রা, এই অভ্যাস কি সত্যিই শরীরের জন্য খারাপ? জানুন বিস্তারিতভাবে
খাবার সময় কথা বলা কিন্তু সত্যিই শরীরের জন্য একটি খারাপ অভ্যাস বলে বিবেচিত হয়ে থাকে
খাবার বিষয়টি নিয়ে আমাদের সবথেকে বেশি সতর্ক থাকা উচিত কারণ খাবার আমাদের পুষ্টির জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাই খাবারের ক্ষেত্রে কোন যদি ভুল ভ্রান্তি হয়ে যায় তখন কিন্তু শরীরে বিরূপ প্রভাব দেখা যেতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দেওয়ার কথা বলে থাকেন। বিজ্ঞান আমাদের বারবার বলে, খাবার ছাড়া আমরা চলতে পারবো না। বলতে গেলে ফোনের যে রকম চার্জের প্রয়োজন হয় সেরকমই আমাদের শরীরের খাবারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু শুধু তো খেলেই হয় না, বরং কি খাচ্ছেন সেই বিষয়টাও কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। এমনকি তার থেকেও বড় কথা হলো কিভাবে খাচ্ছেন। অনেকে মনে করেন খাবার সময় কথা বলতে নেই। তবে এই ধারণা কতটা সত্যি এবং কতটা মিথ্যে সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকের মধ্যেই। এই প্রসঙ্গে চলুন জেনে নেওয়া যাক ডাইটটিশিয়ান কি বলছেন।
আদতে খাবার সময় কথা বলা খুব একটা কিন্তু ভালো অভ্যাস নয়। কারণ খাবার সময় কথা বললে খাদ্যনালী এবং শ্বাসনালির মধ্যে সমস্যা হতে পারে। আমাদের খাদ্যনালী এবং শ্বাসনালী একেবারেই পাশাপাশি রয়েছে। তাই যদি খাবার সময় কথা বলা হয় তাহলে খাদ্যনালীতে খাবার না দিয়ে অনেক সময় শ্বাসনালীতে খাবার চলে যায়। যদি সেরকম হয় তাহলে কিন্তু বিরাট সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক সময় এমন অবস্থা হয়ে থাকে যে আপনি শ্বাস পর্যন্ত নিতে পারেন না। অনেক সময় আবার আপনি কথা বলতে পারেন না এই সমস্যার জন্য। তাই এই অভ্যাস আপনার পরিবর্তন করা উচিত।
তবে যদি কোন ভাবে আপনার খাদ্যনালীতে খাবার চলে যায় তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপৎকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে কেশে নিয়ে খাবারের অংশ আপনি বের করে নিন। যদি সেটা না হয় তাহলে কাউকে বলুন পিছন থেকে হাত দিয়ে আপনার বুকের তলার দিকটা চেপে ধরতে। এই চাপ দিলে অনেক সময় ফুসফুস বাইরের দিকে হাওয়া ছাড়ে এবং বায়ুর চাপ তৈরি করে। ফলে অনেক সময় আটকে যাওয়া খাবার বেরিয়ে আসে। এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে দ্রুত হাসপাতালে যান।
খেতে খেতে যদি আপনি কথা বলেন বা অন্যান্য কাজ করেন তাহলে কিন্তু আপনার হজমের ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। কারণ খাবারের দিকে মনোনিবেশ করা সবার আগে প্রয়োজন আমাদের। যদি আপনি খাবার সময় কথা বলেন তাহলে আপনি খাবারের দিকে মনোনিবেশ করছেন না। যদি সেটা না হয় সেক্ষেত্রে কিন্তু খাদ্য হজম হতে চায় না অনেক সময়। আবার অনেকে এমন আছেন যারা দ্রুত খাবার খেয়ে ফেলেন। ফলে অবশেষে গিয়ে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। তাই একটু ধীরে খাবার খান এবং সব দিকটা সমঝে চলুন।