ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, দেবপ্রিয়া সরকার : স্বাস্থ্যপোকারি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিম আমিষ প্রেমীদের একটি প্রিয় খাদ্য। সকালের টিফিনে ডিম সেদ্ধ বা ডিমের ওমলেট খুবই পুষ্টিকর। ডিমে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও ভিটামিন। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ডিম স্বাস্থ্যকর এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে ডিমের কোন অংশটি বেশী স্বাস্থ্য উপকারি তা জানেন কী?
আমরা সকলেই জানি ডিমের দুটি অংশ। একটি হলো বাইরে সাদা অংশ এবং অপরটি হলো ভিতরের হলুদ অংশ, যাকে আমরা কুসুম বলে জানি। ডিমের এই দুটো অংশের গুণাগুণের মধ্যে তারতম্য আছে। ডিমের কুসুমে প্রায় ৫৫ ক্যালরি থাকে এবং সাদা অংশে থাকে ১৭ ক্যালরি। এদিক থেকে বিচার করলে ডিমের কুসুমের থেকে সাদা অংশটি শরীরের জন্য বেশী উপকারী।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ডিমের মধ্যে ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি যা স্বাস্থ্য উপকারি নয়। ডিমের কুসুমে যথেষ্ট পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে এটি যেমন সত্য, তেমন এতে থাকা কোলেস্টেরলের পরিমাণ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় এটিও সত্য। এটা ছাড়া কুসুমে রয়েছে ভিটামিন বি৬, বি১২, এ, ডি, ই ও কে। এছাড়া রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও স্যালেনিয়াম। ডিমের কুসুমের পাওয়া একটি বিশেষ উপাদান ক্যারোটিনয়েড যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
তবে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা মূলত ডিমের সাদা অংশটি খেতে বেশি ভালোবাসে, কারণ এতে ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেকটাই কম থাকে। এছাড়া এতে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। এতে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিমের সাদা অংশ মাইগ্রেনের মত সমস্যা কমাতে ও চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে উপশমকারী।
তবে ডিমের দুটো অংশের মধ্যে কোন অংশ বেশি স্বাস্থ্যকর সেই প্রশ্নত্তরে বলা যেতে পারে যে ডিমের সাদা অংশের থেকে হলুদ অংশই বেশি স্বাস্থ্যকর। ডিমের মধ্যে থাকা আয়রনের ৯৩ ভাগ রয়েছে কুসুমে ও বাকি ৭ ভাগ রয়েছে ডিমের সাদা অংশে। কুসুমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকায় এর থেকে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টি পাওয়া যায়। তাই বেশি পুষ্টি পেতে চাইলে ডিমের কুসুম কখনোই ফেলে দেওয়ার কথা ভাববেন না। আর যারা কোলস্টেরল নিয়ে চিন্তিত তারা পরিমিত পরিমাণ কুসুম প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।