সুদীর্ঘ প্রচেষ্টার পরেও আর জাতীয় দলে ফিরতে পারলেন না ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য শ্রীসন্থ। আর সেই জন্য ভারাক্রান্ত মনে জীবনের কঠিনতম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন দুবাইয়ের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য শ্রীসন্থ। দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা ছিল শ্রীসন্থের উপর। এরপর ভারতের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করে আইপিএলে মাথা গলাতে চেয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য শ্রীসন্থ।
গত বুধবার এক টুইট বার্তায় শ্রীসন্থ ঘোষণা করেছেন, তিনি ভারতের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তার পরপরই আরো একটি টুইট বার্তায় ক্রিকেটের সমস্ত ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত সোশ্যাল প্রকাশ করেন তিনি। টুইটারে শ্রীসন্থ লেখেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য আমি নিজের প্রথম শ্রেণীর কেরিয়ারে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা আমার একার সিদ্ধান্ত। যদিও জানি এটা আমাকে কখনই খুশি করবে না, তবু জীবনের এই পর্যায়ে এটা যথাযথ ও সম্মানজনক পদক্ষেপ।’
২০০৮ সালের আইপিএল-এ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম পঞ্জাব কিংসের ম্যাচে জিতে যায় পঞ্জাব। তাদের দলের হয়ে খেলা শ্রীসন্থ ম্যাচের পর সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন হরভজনকে। কিন্তু ক্ষিপ্ত হরভজন সপাটে চড় মেরে বসেন শ্রীসন্থকে। শ্রীসন্থের কান্নার সেই দৃশ্য আজও অনেকের চোখে ভাসে। ওই ঘটনার পর হরভজন নির্বাসিত হয়েছিলেন। পরে ক্ষমাও চেয়ে নেন নিজের আচরণের জন্য।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, দু’বারের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য শ্রীসন্থ তার সংক্ষিপ্ত ক্রিকেট জীবনে ভারতের হয়ে ২৭টি টেস্ট, ৫৩টি ওয়ান ডে ও ১০টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে যথাক্রমে ৮৭, ৭৫ ও ৭টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ ওডিআই বিশ্বকাপ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। তবে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কেলেঙ্কারিতে জড়িত হয়ে দীর্ঘদিন ক্রিকেট জগতের বাইরে ছিলেন শ্রীসন্থ।