বর্তমান যুগে চূড়ান্ত ব্যস্ততার মাঝে সবসময় নিয়ম মেনে নিজের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না। বিশেষ করে গরমের দিনে অতিরিক্ত রোদ ও আবহাওয়া শরীরের পাশাপাশি ক্লান্ত করে তোলে ত্বককেও। তবে সবসময় যেকোনো বিশেষজ্ঞ কিংবা চিকিৎসকরা যেকোনো সময় বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে দিনে অন্তত এক থেকে দু’বার ত্বকের উপযুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ ফেসওয়াশের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, বরং এটি ত্বককে ধুলো ময়লা থেকে মুক্তি দিয়ে প্রাণবন্ত রাখে।
তবে আজকের যুগের একাংশ বাজার চলতি কেমিকাল মিশ্রিত একাধিক ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে রাজি থাকেন না। তারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করা কিংবা আয়ুর্বেদিক কিছু উপাদান চান, যা তাদের ত্বকের কোন ক্ষতি করবে না। এক্ষেত্রে ঘরোয়াভাবে নিজের ত্বকের যত্ন নিতে গেলে ব্যস্ততার মধ্যে থেকেও কিছুটা সময় বার করে নিতে হবে। উল্লেখ্য, রান্নাঘরে যদি কমলালেবুর খোসা, মসুর ডাল আর গোটা হলুদ থাকে তাহলে, এই গরমের দিনেও মিলবে উজ্জ্বল ও দাগহীন ত্বক।
ফেসওয়াশ তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদান:
১) কমলালেবুর শুকনো খোসা,
২) পরিমাণমতো মসুর ডাল,
৩) অল্পপরিমাণে গোটা হলুদ।
পদ্ধতি:
• প্রথমে কমলালেবুর শুকনো খোসাগুলো ভালো করে ছোট ছোট টুকরোয় ভেঙে নিয়ে সেটি মিক্সির মধ্যে দিয়ে দিতে হবে।
• এরপর তার মধ্যে পরিমাণমতো মসুর ডাল ঢেলে দিতে হবে।
• তার মধ্যেই অল্পপরিমাণে গোটা হলুদ বেটে ছড়িয়ে দিয়ে ভালো করে গুঁড়ো করে নিতে হবে পুরো ব্যাপারটি।
• এরপর একটি কাঁচের পাত্রে এই গুঁড়ো মিশ্রণ রেখে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন চান করার সময় এই মিশ্রণ যদি মুখে মাখা হয় তাহলেই, মিলবে ফল।
উপকার:
এই মিশ্রণ ব্যবহারে ত্বক হয় দাগহীন। চোখের নীচের কালো দাগও হালকা হতে থাকে। ত্বকের গঠন উন্নত হয় ও উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়।