মাথা ভরা টাক নিয়ে কিন্তু টাকা আসে না, বরং ঘন মজবুত জেল্লাদার চুল থাকলেই মনের ভিতরের আত্মবিশ্বাস বাড়ে পাশাপাশি চুলের মজবুতি থেকে বোঝাও যায় যে শরীর ঠিক আছে। কারণ, চুল তখনই ওঠে যখন চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায় বা মাথায় খুশকি উকুন হয়, কিংবা চুল সঠিক পুষ্টি পায়না, এমনকি শরীরে হরমোনের তারতম্যের কারণেও চুল উঠে যায়। এছাড়া, পলিউশন তো আছেই। রোদের তাপ, বাইরের দূষণের কারণে চুল তার স্বাভাবিক জেল্লা হারায়। এই সব বাদেও অনেকেই আছেন যারা ঘন ঘন হেয়ার প্রোডাক্ট পাল্টান, আজ এই প্রোডাক্ট তো কাল ওই প্রোডাক্ট। এইসব করতে গিয়েই চুলের বারোটা বেজে যাচ্ছে। এমত অবস্থায় উপায় হল একটাই, সেটা হল ঘরোয়া উপাদানের উপর ভরসা করা। যেমন – নারকেল তেল (Coconut Oil)।
নারকেল তেল প্রাচীন কাল থেকে মানুষ মাথায় মেখে আসছে। কেউ কেউ সারা শরীরে নারকেল তেল মাখেন। কারণ এর গুনাগুন অসীম। প্রথমত, খাঁটি নারকেল তেল হল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, এই নারকেল তেলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং খনিজ উপাদান যা চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করে। এছাড়া নারকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা চুল পড়ার সমস্যা রোধ করতে পারে। আপনি হয়তো জানেন যে সদ্যোজাত বাচ্চাদের জন্যেও ডাক্তাররা ভার্জিন নারকেল তেল ব্যবহার করতে বলেন। যাইহোক, আজ আপনারা জানতে পারবেন যে সামান্য নারকেল তেলের সঙ্গে মাত্র কয়েকটি উপাদান মিশিয়ে নিলেই আপনার চুল হয়ে উঠবে তরতাজা, মজবুত ও ঘন।
Step 1 – নারকেল তেলের মধ্যে মিশিয়ে নিন মেথি, কারি পাতা, নিম পাতা, লাল জবা ফুল, তুলসী পাতা
প্রথমে একটি কড়াইতে মেথি শুকনো করে ভেজে তুলে গুঁড়ো করে নিন। এর পর ওই গরম কড়াইতে নারকেল তেল ও নিম, কারি পাতা, তুলসী, জবা ফুল দিয়ে গরম করুন, এরপর ওতে মিশিয়ে দিন গুঁড়ো করে রাখা মেথি। সপ্তাহে ৩ বার রাত্রে মাথায় দিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করে শুয়ে পড়ুন। পরের দিন শ্যাম্পু করে নিন।
Step 2 – নারকেল তেলের মধ্যে মিশিয়ে নিন ডিম
এটা খুবই সহজ পদ্ধতি। একটি পরিষ্কার পাত্রে প্রায় ৪-৫ চা চামচ নারকেল তেল নিন। এতে ১টি ডিমের সাদা অংশ এবং ২ চামচ মধু মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তৈরি মাস্ক, এটি চুলে লাগান এবং ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এর পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
Step 3- নারকেল তেলের সঙ্গে শুধু মধু
এটিও বেশ সহজ পদ্ধতি। একটি পরিষ্কার পাত্রে প্রায় ৪-৫ চা চামচ নারকেল তেল নিন। তাতে মধু নিন ২-৩ চামচ। এরপর চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ওই পেস্টটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
মাত্র দুই সপ্তাহ যদি এই টিপস্ মেনে চলেন তাহলে এক মাসের মধ্যেই ফলাফল হাতে নাতে পাবেন। অবশ্য, এইসব উপকরণ ব্যবহার করার পাশাপাশি জল পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে এবং ডায়েট চার্ট এ ঘরোয়া খাবার, ছোলা বাদাম ফল রাখতে হবে। এবং, বাইরের দূষণ থেকে চুলকে বাঁচাতে হবে তাহলেই ফিরে পাবেন গোছা গোছা চুল।