ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

Diwali 2024: দীপাবলিতে এই পাঁচটি অভ্যাসকে ত্যাগ করুন, লক্ষ্মী সবসময় আপনার বাড়িতে বিরাজ করবে

আপনি যদি সত্যিই চান আপনার কোন রকম আর্থিক সংকট না ঘটে, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে কিছু বিশেষ টিপস

Advertisement

দীপাবলি উপলক্ষে সবাই বাড়িতে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করেন, যাতে তার আশীর্বাদ পরিবারের উপরে থাকে এবং বাড়িতে কখনোই অর্থের অভাব না ঘটে। কিন্তু শুধু পূজা করা কিন্তু যথেষ্ট নয়। আপনার আর্থিক সমস্যার জন্য আপনার সমস্ত অভ্যাস দায়ী। জীবনে যখনই আর্থিক সংকট আসুক না কেন, আপনাকে কিন্তু এই অভ্যাস গুলো পরিবর্তন করতে হবে। না হলে কিন্তু আপনার আর্থিক সংকট কখনোই কাটবে না। এমন পাঁচটি অভ্যাস আপনি অবশ্যই করেন, যেগুলোর কারণে দেবী লক্ষ্মী রুষ্ট হন এবং আপনার বাড়িতে আসেন না। যদি আপনি এই পাঁচটি অভ্যাস চিরতরে বিদায় করতে পারেন, তবে দেবী লক্ষ্মী সর্বদা আপনার উপরে সহায় হবেন এবং আপনার কখনোই অর্থের অভাব হবে না।

১. সঞ্চয় না করার অভ্যাস

যদি আপনার খরচ অনেক বেশি হয় এবং মাসের শেষে আপনার সম্পূর্ণ আয় শেষ হয়ে যায় এবং আপনি কিছু সঞ্চয় না করতে পারেন তাহলে এই অভ্যাসটা আপনার অবশ্যই পরিবর্তন করা উচিত। না হলে কিন্তু ভবিষ্যতে আপনি সমস্যায় পড়বেন এবং আপনার হাতে কোন টাকা থাকবে না।

২. বিনিয়োগ না করার অভ্যাস

অনেকে টাকা সঞ্চয় করেন ঠিকই কিন্তু সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করতে চান না। এর ফলে টাকার সঠিক গ্রোথ হয় না। একাউন্টে থেকে যায় সেই টাকা আর হঠাৎ করে কোন একটা কারণে খরচ হয়ে যায় সেই টাকা। ফলে একাউন্ট আবার খালি হয়ে যায়। এই প্যাটার্ন যদি আপনার জীবনে থেকে যায়, তাহলে কিন্তু বেশ সমস্যায় পড়বেন আপনি। আপনাকে কিন্তু এই দীপাবলিতে এই নিয়মটা পরিবর্তন করতে হবে। অন্ততপক্ষে আপনার আয়ের ২০ শতাংশ আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আপনাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে হবে।

৩. শখ পূরণের জন্য ঋণ গ্রহণ

বর্তমান সময়ে আপনি সহজেই ব্যাংকে গিয়ে ঋণ গ্রহণ করতে পারেন। তবে ঋণ তখনই গ্রহণ করবেন যখন আপনার কোন প্রয়োজনের কাজে সেটা লাগবে। বাড়ির জন্য শিক্ষার জন্য আপনার ব্যবসা সম্প্রসারণ করার জন্য যদি আপনি ঋণ গ্রহণ করেন, তাহলে সেটা আপনার কাজে লাগবে। কিন্তু যদি আপনি দামি কোন জিনিসপত্র কেনার জন্য, কোন স্মার্ট ফোন কেনার জন্য বা ঘোরাঘুরি করার জন্য ঋণ গ্রহণ করেন তাহলে কিন্তু সেটা একেবারেই কাম্য নয়। এটা কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনার বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এই ধরনের ঋণ কিন্তু সম্পূর্ণরূপে অপব্যয়। ফলে এই খরচ আপনাকে বন্ধ করতেই হবে।

৪. স্বাস্থ্য বীমা কিনছেন না

ভারতের একটা বড় অংশের মানুষ স্বাস্থ্য বীমা কেনেন না। তারা স্বাস্থ্য বীমা কে জীবনের খুব একটা বড় প্রয়োজন হিসেবে মনে করেন না। কিন্তু এরকম অনেক সময় থাকবে যখন আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং সেই সময় আপনার টাকার প্রয়োজন। তখন কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনাকে আফসোস করতে হবে। যদি আপনার কাছে সেই সময় দেওয়ার মতো স্বাস্থ্য বীমা থাকে, তাহলে আপনার কোন রকম সমস্যা হবে না এবং আপনার পরিবারকে সম্পূর্ণরূপে কভার করবে সেই স্বাস্থ্য বীমা। কিন্তু যদি বীমা আপনার করা না থাকে, তাহলে কিন্তু আপনাকে বিপদে পড়তে হবে। তাই কম বয়সে অবশ্যই একটা ভাল টাকার স্বাস্থ্য বীমা কিনে রাখুন।

৫. নিজেকে ধনী প্রমাণ করা

অনেকেই এমন রয়েছেন যারা নিজেদেরকে ধনী প্রমাণ করতে খুব পছন্দ করেন। ধনী হওয়া এবং অন্যদের কাছে ধনী নিজেকে প্রমাণ করার মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। নিজেকে ধনী দেখানোর জন্য লোকেরা দামি মদ্যপান, দামি সিগারেট পান, পার্টি, দামি রেস্তোরায় যাওয়া, অনলাইন গেম, ডিস্কো, ব্র্যান্ডেড শপিং, ইত্যাদিতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন। এগুলো না করে আপনি যদি সেই টাকা সঞ্চয় করতে পারেন তাহলে আপনি কিন্তু ভবিষ্যতে অনেক সুরক্ষিত থাকবেন। এই টাকা যদি আপনি ভালো জায়গায় বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আপনি সত্যিকারের ধনী হয়ে যাবেন। তখন আপনাকে কিন্তু এগুলো করে নিজেকে ধনী প্রমাণ করতে হবে না। সবাই এমনিতেই বুঝে যাবে, আপনার কাছে ভালো পরিমান পয়সা রয়েছে। অতএব এই প্রদর্শনের ভান বন্ধ করে সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করুন, তাহলে শেষ পর্যন্ত আপনার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকবে।

Related Articles

Back to top button