রাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করতে। তবে এখন ঘনঘন হবে বৈঠক হবে জোড়াফুল শিবিরে। সবই ‘বিপর্যয় মোকাবিলা’ বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রী যদি আজ থেকে ১০ বছর আগে কাজ করতেন, তবে এই দুর্দশা হত না। শনিবার এভাবেই শাসক দলের দিকে বাক্যবাণ ছোঁড়েন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এইদিন নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন দিলীপবাবু। সেখানেই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন তিনি। এইদিন তিনি প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি নিয়ে। তার বক্তব্য,”এখন তিনি তৃণমূলে আছেন ঠিকই, তবে দেখার বিষয় আগামী দিনে কি হয়। তবে আমার সাথে কোনও কথা হয়নি তার।” এইদিন তিনি আরও বলেন,”মুখ্যমন্ত্রী এখনও কেবল প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। ১০ বছর আগে এসব করলে আজ আর এই অবস্থা দেখতে হত না। এভাবে সবাই দল ছেড়ে চলে যেত না। যে পার্টির বিধায়ক ছেড়ে চলে যায়, সাংসদ ছেড়ে চলে যায়, সেই দলের আবার কিছু আছে নাকি! আর কিছুদিন পরে দেখবেন দল টাই থাকবেনা। আমরা আগেই বলেছিলাম অনেকে জয়েন করবে। এখন দেখুন।”
এইদিন তিনি বলেন,”বিধায়ক- সাংসদ অনেকেই আছেন। কিছু মাসের মধ্যে আরও অনেক কিছু ঘটবে। ওদের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট পুরো ফেল। তবে দলের ডিজাস্টার ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সব নিয়ে দিদিমণি খুবই ব্যস্ত রয়েছেন। এখন রোজই বৈঠক হবে। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের জন্য। প্রতি সপ্তাহে হবে। দিনে দিনে হবে বৈঠক। দফতরগুলি ওনার হাতে আছে ঠিকই, শুধু হাতে নেই দলটা।”
অন্যদিকে শুভেন্দুর দলত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন,” যোগাযোগ আমাদের প্রতিনিয়ত হচ্ছে। জেলায় জেলায় হচ্ছে। প্রতি দিন মানুষ যোগ দিচ্ছেন। আমরা যোগদান মেলা করতে চলেছি। বড় বড় নেতা রা দিল্লিতে গিয়ে যোগ দিচ্ছেন। আবার কেউ যোগ দিচ্ছেন কলকাতায়। যেমন ভাবে লোকজন আসবেন, সেভাবেই ব্যবস্থা করব আমারা।” জে পি নড্ডার বাংলা ভ্রমণ নিয়ে এইদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন,”বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি জে পি নড্ডা বাংলা ভ্রমণে আসবেন। বাকি প্রোগ্রাম জানিয়ে দেওয়া হবে। ” তার হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে শুভেন্দু যোগদান করবেন বলে জানান বাংলার রাজ্য সভাপতি।
শাসক শিবিরকে আক্রমণ করে তিনি বলেন,”একটা দল ক্ষমতায় আছে। কিন্তু তার বিধায়ক, সাংসদ দল ছেড়ে দিচ্ছে। এমন অবস্থায় আর ক্ষমতায় থেকে কি হবে? কি করে তাদের ভরসা করবে মানুষ? যেখানে তাদের নিজেদের নেতৃত্বের ওপর ভরসা নেই। আমরা এখন তো ক্ষমতা তেও নেই। পুলিশ প্রশাসন সবই তাদের হাতে। কিন্তু এর পরও যদি মানুষ আমাদের দলে আসেন, তবে মনে করবেন ওদের দল শেষ হয়ে গেছে।”