শ্রেয়া চ্যাটার্জি – বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সুন্দরবনকে রক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন। গত আমফান ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবন বিপর্যস্ত হয়েছে। সেখানের বিখ্যাত দেবী বনবিবি। সুন্দরবনের বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ ও এর আশেপাশের এলাকার মধু আহরণকারী ও কাঠুরে জনগোষ্ঠী বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বনবিবির পূজা করেন। এ কথা প্রচলিত আছে, নিষ্ঠুর রাজা দক্ষিণরায় এক হিংস্র বাঘের ছদ্মবেশে মানুষের উপর হামলা করেন।
বনবিবি হিন্দুদের দ্বারা বনদুর্গা, বনচন্ডী, বনদেবী বনবিবি হিসেবে পূজিত। তিনি ভক্ত বৎসল, দয়াবতী, লাবণ্যময়ী। তার প্রধানত হিন্দু চিত্র গুলিতে তিনি হরিদ্রা, মুকুট এবং গলায় হার, বনফুলের মালা পরা পাওয়া যায়। তার এক হাতে লাঠি এক হাতে ত্রিশূল। তিনি তার মুসলিম অনুসারীদের দ্বারা ‘বনবিবি’ হিসেবে পূজিত হন এবং তাদের কাছে ‘পীরানী’ হিসেবে পরিচিত। তার মুসলিম চিত্রগুলোতে প্রধানত মুষ্টিমেয় মূর্তিগুলি টিকলির সাথে একটি টুপি পরেন, চুল বিনুনী করা। তিনি ঘাগড়া পাজামা এবং এক জোড়া জুতো পরেন। হিন্দু-মুসলমান উভয় ছবিতেই কোলে একটি ছেলে আছে, যার নাম দুখে। তার বাহন মুরগি।
প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে মূল পুজো করা হয়। বর্ণ ব্রাহ্মণরা তার পৌরহিত্য করেন না। নিম্নশ্রেণির হিন্দুরা করেন। নিরামিষ নৈবেদ্য দেন হয়না। কখনো তার নামে জীবন্ত মুরগি ছেড়ে দেয় দুই হাজারেরও বেশি মণ্ডপ সাজানো হয় মনের ভেতরে ও বনসংলগ্ন এলাকায়।