আর্থিক স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে নতুন পরিকল্পনা চালু করেছে ভারতীয় জীবন বিমা কর্পোরেশন (LIC)। গ্রামীণ মহিলাদের কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে চালু হয়েছে ‘বিমা সখী’ প্রকল্প। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মহিলারা কেবল প্রশিক্ষণই পাবেন না, বরং আয়ের সুযোগও তৈরি হবে তাঁদের জন্য।
কী এই বিমা সখী প্রকল্প?
এই প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের এলআইসির এজেন্ট হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণকাল তিন বছর। এই সময়ে মাসিক নির্দিষ্ট ভাতা দেওয়া হবে। প্রথম বছরে ৭,০০০ টাকা, দ্বিতীয় বছরে ৬,০০০ টাকা এবং তৃতীয় বছরে ৫,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হলে মহিলারা সরাসরি ‘বিমা সখী’ হিসেবে নিয়োগ পাবেন। এরপর তাঁরা গ্রাহকদের পলিসি বিক্রির মাধ্যমে কমিশন আয়ের সুযোগও পাবেন।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
এ প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে—
আবেদনকারীর ন্যূনতম যোগ্যতা দশম শ্রেণি পাশ।
বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে।
গ্রামীণ এলাকার মহিলা হওয়া আবশ্যক।
প্রয়োজনীয় নথি
আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের কাছে থাকতে হবে—
আধার কার্ড
প্যান কার্ড
দশম শ্রেণির মার্কশিট
মহিলাদের জন্য সুযোগ
এই প্রকল্পের অন্যতম বিশেষ দিক হল, যাঁরা গ্র্যাজুয়েট, তাঁদের এলআইসির অফিসার হওয়ার সুযোগও থাকবে। অর্থাৎ, শুধুমাত্র প্রশিক্ষণেই সীমাবদ্ধ নয়, ভবিষ্যতে আরও বড় দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। প্রকল্পটি মূলত গ্রামীণ মহিলাদের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী ও স্বনির্ভর করে তুলতেই তৈরি।
আবেদন পদ্ধতি
বিমা সখী প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীদের যেতে হবে এলআইসির অফিশিয়াল পোর্টালে। সেখান থেকে ‘বিমা সখী অ্যাপ্লাই’ অপশনে ক্লিক করে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে হবে। নির্দিষ্ট নথি আপলোড করার পর আবেদন জমা দিতে হবে। জমা দেওয়া ফর্মের একটি প্রিন্ট আউট নিজের কাছে রাখতে হবে।
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প?
ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতি ও মহিলাদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। একদিকে আয় বাড়বে, অন্যদিকে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মহিলারা পেশাগতভাবে আরও সক্ষম হবেন। শুধু ব্যক্তিগত নয়, এই প্রকল্প গ্রামীণ সমাজের সার্বিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে।














