সিবিআই বহুদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল যে তিনি গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত। এবারে পিঠ বাঁচাতে পদত্যাগ পোলেন চন্দননগরের সিপি হুমায়ুন কবির (Humaun Kabir)। আজ এরকম ভাষাতেই বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া দিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। চন্দননগরের তেলেনিপাড়া এলাকাতে সংঘর্ষের ঘটনা উল্লেখ করে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে তিনি ক্ষোভ উগরে দিলেন।
চাকরির মেয়াদ প্রায় ফুরিয়ে এসেছিল। আর কিছুদিনের মধ্যেই তার অবসর নেওয়ার কথা ছিল। আর তার আগে পদত্যাগ করলেন সিপি। ২০০৩ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবিরকে নিয়ে জল্পনা বর্তমানে তুঙ্গে। ব্যক্তিগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে কর্ম জীবন থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে কি আসতে চলেছেন তিনি? যদিও এ বিষয়ে কিন্তু কোন মুখ খোলেননি পুলিশ কমিশনার। উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগে তৃণমূলে যোগদান করেছেন তার স্ত্রী। এবারে হয়তো হুমায়ুন কবির যোগদান করতে পারেন তৃণমূলে।
উল্লেখ্য বাম আমলে, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharya) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন হুমায়ূন কবির। এলাকার বড় বড় মস্তানদের জব্দ করেছেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীকালে একটি বিতর্কিত মামলা নিয়ে তাকে জর্জরিত হতে হয়েছিল। পাশাপাশি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন তাকে সরিয়ে দিয়েছিল। তার পরবর্তীতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এর ডিসি পদে তিনি নিযুক্ত হলেন। তার পরবর্তীতে আবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। আর এবারে তিনি পদত্যাগ করলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার পদ থেকে। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তিনি এবারে রাজনীতিতে যুক্ত হতে চলেছেন।