গণতান্ত্রিক উপায়ে পাল্লা দিতে না পেরে শেষ পর্যন্ত হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে কিছু রাজনৈতিক দল, এমনটাই অভিযোগ জানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এদিনকার সভায় দেশজুড়ে বিজেপি কর্মীদের খুনের ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে সে কোন হুঁশিয়ারি দেবে না। কিন্তু আমজনতা সব নিজের চোখে দেখতে পারছে। নির্বাচনের সময় জনতারা কিন্তু সেই রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোট দেবে না। এমনকি ভোট তো দূরের কথা, জনতারা উচিত শিক্ষা দেবে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করার জন্য।
আগামী বুধবার বিহারে নির্বাচনে বিজেপির জয়ের উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদি “ধন্যবাদ বিহার” অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে তিনি বিহারবাসীকে সঠিক সরকার বেছে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে দেশজুড়ে চলা অরাজকতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি।
মোদি ধন্যবাদ বিহার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায় হত্যার রাজনীতি চলছে। অনেক জায়গাতেই বিজেপি কর্মীরা শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে খুন হচ্ছেন। এই ব্যাপারটি খুবই নিন্দনীয়। তিনি কোন রাজনৈতিক দল বা নেতৃত্তের নাম না করে আক্রমণ করে বলেছেন, “যারা গণতান্ত্রিক উপায়ে বিজেপির সাথে পাল্লা দিতে পারছে না তারা হত্যার রাজনীতিতে অবতীর্ণ হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীরা খুন হচ্ছে। যারা ভাবছেন কর্মীদের খুন করে বিজেপির বিজয়রথ থামিয়ে দেওয়া যাবে, তারা সম্পূর্ণভাবে ভুল”।
মোদি আরও বলেছেন, “নির্বাচন আসবে। চলে যাবে। তারমধ্যে জয় পরাজয় লেগে থাকবে। কিন্তু নির্বাচনে জেতার জন্য কোন ব্যক্তির খুন করা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। হত্যার রাজনীতি কোন রাজনৈতিক দল মেনে নিতে চায় না এবং আমজনতারাও এরকম শাসকদল চায় না”। তিনি নাম না উল্লেখ করেই বলেছেন, “আমি এই মুহূর্তে কোনরকম হুঁশিয়ারি দেয়ার চেষ্টা করছি না। আমি অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে বোঝাতে চাইছি মাত্র। কিন্তু আমজনতারা সবই দেখতে পাচ্ছে। তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারে কিন্তু ভবিষ্যতে”।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন নরেন্দ্র মোদী নামে উল্লেখ করে হয়তো বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন। বাংলার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ও নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে অনেকদিন ধরেই শাসকদলের বিজেপি কর্মী খুনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গেছে। এবার আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে শাসকদলকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে তাদের ভুল দেখানোর জন্য হয়তো মোদির এই ধরনের বক্তব্য করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।