বর্তমানের কর্মব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন নিয়ম করে নিজের এবং ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না। তবে সম্ভব না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিতেই হয়। আর তা নাহলে ত্বক নিজের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। দেখা দেয় নানা সমস্যাও। সেক্ষেত্রে ব্রণ, ট্যানিং, শুষ্ক ত্বক, রিঙ্কেলসের সমস্যা অন্যতম। আর এই সমস্ত সমস্যা দূর করে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে ভীষণভাবে সহায়ক গরুর কাঁচা দুধ।
গরুর দুধ শরীরের পক্ষে উপকারী হিসেবেই মানা হয়। অবশ্য শরীরের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও এটি বেশ কার্যকরী। যদি গরুর কাঁচা দুধ দিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করা যায় তাহলে, দূর হবে ত্বকের একাধিক সমস্যা। পাশাপাশি ফিরে আসবে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ও উজ্জ্বলতাও। নিজেদের কোমল ত্বককে ঠিক রাখার স্বার্থে অনেকেই নানা ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার পাশাপাশি করিয়ে থাকেন নানা বিউটি ট্রিটমেন্টও। আর এগুলি যে ত্বকের উপকার করার বদলে ক্ষতি করে দেয়, তা বুঝে ওঠার আগেই ত্বক হারায় নিজের উজ্জ্বলতা। তবে সেই হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতাকে ফিরে পেতেই সহায়তা করে কাঁচা গরুর দুধ।
দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড ও ফ্যাট বর্তমান। আর গরুর দুধে উপস্থিত এই উপাদানগুলোই ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাকে দূর করতে ভীষণভাবে সহায়তা করে। শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ফেরাতে, অসময়ে ত্বকের চামড়া ঝুলে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, ব্রণর সমস্যা দূর করতে, চোখের তলায় কালি পড়া কিংবা ট্যানিংয়ের সমস্যা থেকে বাঁচতে কার্যকরী এটি। যদি সপ্তাহে বেশ কয়েকবার সময় করে কাঁচা গরুর দুধ দিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করা হয় তাহলে, উপরিউক্ত ত্বকের সমস্যগুলি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। যদি নিয়ম করে কয়েকদিন গরুর দুধ ব্যবহার করে ত্বককে আরাম দেওয়া যায় তাহলে, তফাৎ চোখে পড়বে নিজেরই। ত্বক ফিরে পাবে নিজের হারানো স্বাভাবিক আদ্রতা ও উজ্জ্বলতাও।