বেসন একটি কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন সমৃদ্ধ পদার্থ, এবং ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। ত্বকে পরিষ্কার করার জন্য কৃত্রিম ক্লিনজারের তুলনায় এটি একটি ঘরোয়া এবং নিরাপদ বিকল্প। বেসন ত্বককে ডিটক্সিফাই করে ও তার সাথে ত্বকের তেল- তেলে ভাব দুর করে। বেসনের অন্টি – ব্যাকটেরিয়াল গুণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন, তাই এর প্রয়োগে সুদু মুখ পরিষ্কার হয় বললে ভুল হবে এটি ব্রণের সমস্যাও দূর করে। এর পাশাপাশি বেসন ত্বকের নরমত্ব ও উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এবং কতক্ষণ মুখে বেসন লাগালে আমরা এর সমস্ত বৈশিষ্ট্যের সুবিধা পেতে পারেন।
বেসন পিম্পল নিয়ন্ত্রণ করায় ও উপযোগী। এই উপকার পেতে হলে বেসনের সঙ্গে শসা পোস্ট করে মিলিয়ে মুখে লাগাতে হবে। এই মিশ্রণটি 20-25 মিনিট মুখে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে 2 বার প্রয়োগ করে মুখের ব্রণ থেকেও মুক্তি মিলবে এবং উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, এর থেকে মুক্তি পেতে দইয়ের সাথে বেসন মিশিয়ে মুখে লাগাতে পরেন, উভয়ই অতিরিক্ত সিবাম তৈরিতে বাধা দেয়, যার কারণে মুখের তৈলাক্ত ভাব অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। এই মিশ্রণটি মুখে লাগানোর আগে মুখ পরিষ্কার করে তারপর লাগাতে হবে। এই মিশ্রণটি প্রায় 20 মিনিট রাখার পর, জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখ।
বেসনের সঙ্গে দুধের স্বর লাগালে শুধু মুখ নরম হয় না, ত্বকে আর্দ্রতাও ফিরে পাওয়া যায়। বেসনের সাথে স্বর মিশিয়ে মুখে লাগান এবং শুকাতে দিন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। শীতের জন্য এটি সেরা ক্লিনজার। যদি ত্বক ফেকাসে ও শুষ্ক দেখাতে শুরু করে তাহলে বেসন এর সাথে মুলতানি মাটি, গোলাপ জল এবং এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখের পাশাপাশি ঘাড়ে লাগান। এরপর হালকা হাতে ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই ভাবে সপ্তাহে দুবার লাগালে এই সমস্যা দুর হয়ে যাবে।
দাবিত্যাগ:পরামর্শ সহ এই উপস্থাপনা শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এটা কোনোভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।