আমরা শরীর ফিট রাখতে যেমন কসরত করা জরুরী। সেইভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়াও ঝকমারি কাজ। শরীরের যত্নের মতন একইভাবে ত্বকেরও যত্ন নিতে হবে। এর জন্য সময়মতো মুখ পরিষ্কার করা, ময়েশ্চারাইজিং করার মতো অনেক বিষয় রয়েছে যা আমাদের প্রতিদিনের অভ্যেসে রূপান্তরিত করতে হবে। আজকাল দেখা যাচ্ছে ভুল ডায়েট এবং ভুল জীবনযাপনের কারণে অল্প বয়সেই মুখে বলিরেখা, ফাইন লাইনের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এগুলো এড়াতে সঠিক পরিচর্যা ছাড়াও অনেক কিছু মেনে চলতে হবে।
আপনি প্রায়শই শুনেছেন যে ৪০ বছর বয়সের পরে অ্যান্টি-এজিং বিউটি রুটিন অনুসরণ করা উচিত, যদিও এটি এমন নয়, আপনি এটি ২৯ বছর বয়স থেকে শুরু করতে পারেন। আসলে, অ্যান্টি-এজিং মানে বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেওয়া। এটি থেকে স্পষ্ট যে আপনি যত তাড়াতাড়ি এটি শুরু করবেন, তত বেশি আপনি ত্বককে ফাইন লাইন, বলিরেখা বা বার্ধক্যজনিত অন্যান্য সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারবেন। নীচে আমরা আপনার জন্য এমন কিছু টিপস নিয়ে এসেছি, যা আপনাকে বার্ধক্য থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।
বার্ধক্য দূরে রাখতে অনুসরণ করুন এই টিপসগুলো -:
১) উজ্জ্বল ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন:-
ত্বককে সুস্থ রাখতে খাবারের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।তাই আপনার খাদ্যতালিকায় আরও বেশি করে ভিটামিন ও মিনারেল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এগুলো পূরণ করতে হলে খাবারে ফল, শাকসবজি, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি জাতীয় জিনিস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, এতে ত্বক পুষ্টিপূর্ণ হবে এবং উজ্জ্বল হতে শুরু করবে।
২) সানস্ক্রিন লাগানোও জরুরি:-
গরমে বলিরেখা এড়াতে সানস্ক্রিন মাস্ট। ত্বক বিশেষজ্ঞরাও সুপারিশ করেন যে অকাল বার্ধক্য, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, সূর্যের ক্ষতির মতো জিনিসগুলি এড়াতে সানস্ক্রিন প্রয়োগ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি ত্বকের যত্নের রুটিনে রেটিনল অন্তর্ভুক্ত করুন, আজকাল এমন অনেক সৌন্দর্য পণ্য রয়েছে, যাতে রেটিনল থাকে।
৩) ত্বকের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ব্যবহার:-
আপনার ত্বকের যত্নের রুটিনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সৌন্দর্য পণ্য অন্তর্ভুক্ত করুন। আজকাল বাজারে এমন অনেক সিরাম এবং ক্রিম পাওয়া যায়, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এগুলো ব্যবহারে বার্ধক্য দূরে থাকবে এবং বয়সের আগে মুখে বলিরেখা আসবে না।
৪) সবসময় চাপ(স্ট্রেস) থেকে দূরে থাকুন:-
মুখের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে এবং বার্ধক্যের চিহ্ন দূরে রাখতে স্ট্রেস থেকে দূরে থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক চাপ ত্বক ও চুলের সবচেয়ে বড় শত্রু। এটা নিয়ে অনেক সমস্যা শুরু হয়। শুধু তাই নয়, স্ট্রেস মুখে বার্ধক্য আনতে কাজ করে, যে কারণে এ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন।
৫) দই দিয়ে ম্যাসাজ করুন:-
মুখ ফর্সা করতে দই একটি উপকারী জিনিস। দইতে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা একটি প্রাকৃতিক ব্লিচ। দই হাতে নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন এবং তারপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। আপনি অবিলম্বে ত্বকে রঙের পার্থক্য দেখতে শুরু করবেন।
এই তথ্যের যথার্থতা, সময়োপযোগীতা এবং সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এটা ভারত বার্তার নৈতিক দায়িত্ব নয়। দয়া করে কোনো প্রতিকার চেষ্টা করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার জন্য অনুরোধ করছি আমরা। আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আপনাকে তথ্য প্রদান করা।