বর্তমানের কর্মব্যস্ত জীবনে মানুষের হাতে সময় খুব কম। এক্ষেত্রে নিজের যত্ন নেওয়া সবসময় সম্ভব হয় না সাধারণের পক্ষে। আর এর মাঝেই ত্বকের হাজারটা সমস্যা নিয়ে চলতে হয় অনেককেই। তার মূল কারণ অনিয়ন্ত্রিত – অনিয়মিত জীবনযাপন ও দূষণ। যার কারণবশত বয়সের আগেই বয়সের ছাপ পড়তে পারে চোখে-মুখে। তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এই কয়েকটি ফেসপ্যাকেই মিটবে ত্বকের এক থেকে একাধিক সমস্যা, জানুন বিস্তারিত।
১) গোলাপের পাপড়ি- প্রথমে বেশ কয়েকটি গোলাপ নিয়ে তার পাপড়ি ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর ভালো করে সেগুলি বেটে নিতে হবে। এরপর সেই পেস্টের মধ্যে অল্পপরিমাণে দুধ ও বেসন মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণ গোটা মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। শেষে পরিষ্কার জল দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিলেই মিটবে ত্বকের একাধিক সমস্যা।
২) বেসন- বেসন ত্বকের জন্য যে বেজায় উপকারী, তা অজানা নয় কারোরই। প্রথমে একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ বেসন নিয়ে নিতে হবে। তার মধ্যে এক টেবিল চামচ দুধের স্বর ও এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই ঘন মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে শুকানোর জন্য। এরপর পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। বেসন ত্বকের প্রদাহ কমায়, তা একাধিক গবেষণাতেও প্রমাণিত।
৩) চন্দন- চন্দন ত্বকের একাধিক সমস্যা কমাতে সহায়তা করে থাকে। বিশেষ করে ব্রণর সমস্যা মেটাতে ভীষণভাবে কার্যকরী এটি। প্রথমে একটি পাত্রে এক চামচ চন্দন গুঁড়ো ও আধ চামচ মুলতানি মাটি দিয়ে ঘন ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে হবে। এরপর সেটি ভালো করে মুখে লাগিয়ে প্রায় ১০ মিনিট রেখে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। উল্লেখ্য, এই ফেসপ্যাকে স্যান্ডালউড এসেনশিয়াল অয়েলও মেশানো যেতে পারে, তবে তা এক-দু ফোঁটার বেশি একেবারেই নয়।
৪) অ্যালোভেরা জেল- প্রথমে একটি পাত্রে দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে নিতে হবে। এরপর ভিটামিন-ই ক্যাপসুল থেকে নির্যাস বের করে নিয়ে অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে মিশিয়ে নিতে হবে ভালো করে। এরপর সেটি মুখে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। পরে পরিষ্কার জল দিয়ে কিংবা টিসু দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। উল্লেখ্য, ভিটামিন-ই ক্যাপসুল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ত্বকের একাধিক সমস্যা মেটানোর ক্ষেত্রে। পাশাপাশি অ্যালোভেরা জেল ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রতা বজায় রাখতেও সহায়তা করে।
উল্লেখ্য, এই ঘরোয়া চারটি ফেসপ্যাক সপ্তাহে এক থেকে দুবার ব্যবহার করলেই তফাৎ চোখে পড়বে।