নিউজপলিটিক্সরাজ্য

শাহের সভার আগে তৃণমূলের পতাকায় ছয়লাপ ঠাকুরনগর, শাসক-বিরোধী তরজা চরমে

তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৯ ফেব্রুয়ারি সভার জন্য টাঙানো হয়েছে এই পতাকা।

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এর সভার আগে তৃণমূলের পতাকায় ছয়লাপ হয়ে গেল ঠাকুরনগর এলাকা। তৃণমূলের এই ঘটনা নিয়ে বেশ বিক্ষুব্ধ রয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৯ ফেব্রুয়ারি সভার জন্য টাঙানো হয়েছে এই পতাকা। মতুয়ারা এবারের নির্বাচনে বেশ বড় একটি ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে চলেছেন। তাই শাসকদল তৃণমূল এবং বিরোধী দল বিজেপি উভয়পক্ষইমতুয়াদের মন জয় করার উদ্দেশ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ছে একসাথে।

মতুয়াদের মন জয় করার জন্য এবারে একটি সভায় যোগ দিতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঠাকুরনগরে এই সভা হতে চলেছে এবং এখানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সিএএ বাংলা নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে চলেছে। বাংলার মোটামুটি ৩০টি আসনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হবে মতুয়া ভোট। আর এই মতুয়া ভোট যার দিকে যাবে, তার নির্বাচনে জয়লাভ করার সম্ভাবনা বাড়বে।

গত ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মতুয়াদের ভোট নিজেদের দিকে টানতে পেরেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু গত ১৩ মাসে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হয়নি। এই কারণে মতুয়াদের মধ্যে এই ভোট নিয়ে একটা চাপা অসন্তোষ রয়ে গিয়েছে। আর এই অসন্তোষের কারণে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। তাই বিজেপি এই বিধানসভা ভোটের আগে সি এ এ নিয়ে তাদের অবস্থান সকলের সামনে স্পষ্ট করার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। এছাড়াও অমিত শাহের সভার আগে ঠাকুরনগরে হেলিপ্যাড তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

অন্যদিকে শাসকদল তৃণমূল ঠাকুরনগরের নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে মরিয়া। তৃণমূলের পতাকা ছেয়ে গিয়েছে গোটা ঠাকুরনগর এলাকাতে। বনগাঁর বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বলেছেন,”এইরকম অপসংস্কৃতি তৃণমূল নামক রাজনৈতিক দলটি করতে পারে। যারা পতাকা লাগাচ্ছে তারা হলেন ভাড়াটে মাতাল।” এই মন্তব্যের পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ লোকসভা কমিটির চেয়ারম্যান বলেছেন,”পতাকা লাগানোটা রাজনীতির বাইরে নয়। রাজনৈতিক সভা সমিতি যে দলের হোক না কেন দলের সাংগঠনিক শক্তি দেখানোর জন্য ফ্লেক্স পতাকা লাগানো কিন্তু অন্যায় নয়।” তবে যাই হোক, বর্তমানে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঠাকুরনগরে এই সভা নিয়ে বর্তমানে উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল।

Related Articles

Back to top button