ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সোমনাথ বিশ্বাস : ৪০ বছর হয়ে গেলেই নারীদের শরীরে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে থাকে। এর কারণ হিসেবে নিজেদের শরীরের প্রতি অবহেলাকেই দায়ী করেন চিকিৎসকরা। তাদের মতে, ঠিকমতো শরীরের যত্ন নিতে পারলে ৪০ নয়, ৫০ বছর পর্যন্তও শরীরে বার্ধক্য কোনো ছাপ ফেলতে পারবেনা। চিকিৎসকরা এরজন্য কিছু খাবার প্রতিদিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন-
১. ব্লুবেরিঃ প্রতিদিনই নানা কাজে বাইরে রোদে বেরোতে হয়। এই রোদ আর দূষণ ত্বকে যে কেবল দাগই ফেলে তা নয়, বরং ত্বকের কোষেরও ক্ষতি করে। এ ছাড়া কাজের চাপেও শরীরে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে বলিরেখা, যা ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ ফুটিয়ে তোলে। ব্লুবেরিতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে শরীর থেকে দূর করে। রোদ ও স্ট্রেসের কারণে ক্ষতি হওয়া কোষগুলোকে সারিয়ে তোলে।
২. বেদানাঃ আমাদের ত্বকে কোলাজেন নামে একটি পদার্থ থাকে যা ত্বককে টানটান রাখে। কিন্তু শরীরে উৎপন্ন হওয়া ফ্রি র্যাডিক্যালস ত্বকের এই কোলাজেনকে নষ্ট করে দেয়। ফলে ত্বকে রিঙ্কলস, ফাইনলাইনস ইত্যাদি দেখা দেয়। বেদানার রস এই ফ্রি র্যাডিক্যালসগুলোকে নষ্ট করে দেয়। শুধু তাই নয়, কোলাজেনকেও নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
৩. মাশরুমঃ বয়স ৪০-এর কোটায় পড়লে কেবল যে ত্বক নষ্ট হয় তা কিন্ত নয়। কোমর ব্যথা, হাড়ের জয়েন্টের ব্যথায় অনেকেই ভোগেন। চিকিৎসকরা বলছেন নারীদের ক্যালসিয়ামের অভাব হাড়ের দুর্বলতার একটি মূল কারণ, আর এই হাড়ের দূর্বলতা থেকেই এসব সমস্যা সৃষ্টি হয়। হাড়ের সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি খুবই দরকারী। মাশরুম হলো ভিটামিন ডি’র ভাণ্ডার। তাই শরীরে ভিটামিন ডি’র পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে মাশরুম খাওয়া খুবই উপকারী।
৪. আনারসঃ ত্বকের মধ্যে থাকা কোলাজেন পদার্থটি তৈরি হতে কিছু অ্যামিনো অ্যাসিড দরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চল্লিশের পর থেকে শরীরে এই অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা কমে যেতে থাকে। ফলে পর্যাপ্ত কোলাজেন তৈরি হতে পারে না। আনারসে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজের মতো ধাতু যা এই অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করতে প্রধান ভূমিকা রাখে।
৫. বাদামঃ ৪০ পার হলেই শরীরে প্রোটিন, ফাইবার ও মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপকরণগুলোর ঘাটতিও যথেষ্ট পরিমাণে দেখা যায়। আর এই উপাদান গুলোর ঘাটতি মেটানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো বাদাম।