নিয়মিত বডি স্প্রে ব্যবহার করেন! জানেন এতে আপনার যৌন জীবনে ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়তে পারে!
ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সোমনাথ বিশ্বাস : প্যাচপেচে গরমে ডিও ছাড়া চলেই না। বাসে ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করতে গেলে ডিও মাস্ট। বিজ্ঞাপনের দাবি অনুযায়ী বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে আকর্ষণ করার অন্যতম সহজ উপায় নাকি এই মনোমোহিনী সুগন্ধী। কিন্তু গবেষকদের মতে এই সুগন্ধী ব্যবহারে বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে আকর্ষণের পাশাপাশি যৌন জীবনেও অনেক সমস্যা দেখা যায়।
গবেষণা বলছে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি এই সুগন্ধীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় পুরুষদের যৌন জীবনে। এর জন্য দায়ী মুলত বডি স্প্রে বা ডিওডোরেন্টে ব্যবহৃত থ্যালেট। এই রাসায়নিক টা ব্যবহার করা হয়, সুগন্ধীকে দীর্ঘস্থায়ী করতে। থ্যালেটের কু-প্রভাবে মুলত পড়ে যৌন হরমোনের উপর। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতেই দ্রুত কমতে থাকে পুরুষের যৌন কামনা। পুরুষাঙ্গ শিথিল হয়, পাশাপাশি কমতে থাকে স্পার্ম কাউন্ট। তুলনায় কম হলেও এই থ্যালেটের প্রভাব পড়ে মহিলাদের যৌন জীবনেও। শুধু থ্যালেটই নয়, বিজ্ঞানীদের মতে থ্যালেট ছাড়াও আরও অনেক উপাদান আছে ডিওতে যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করে যৌন জীবন। ডিওতে থাকা প্রপিলিন গ্লাইকল ছদ্ম ইস্ট্রোজেনের মতো কাজ করে। ফলে মহিলাদের শরীরে যৌন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। অনেকটা একইরকম কাজ করে প্যারাবেনস নামে রাসায়নিক। এই রাসায়নিকটি প্রিজারভেটিভ হিসাবে কাজ করলেও মহিলা-পুরুষ উভয়ের শরীরেই ছদ্ম ইস্ট্রেজেনের ভূমিকা পালন করে। ফলে প্রকৃত হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।
আর এর ফলে যে শুধু যৌন জীবনেই সমস্যা হয় তা কিন্তু নয়। এর বেশি ব্যবহারে স্তন ও প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা দেখা দেয়। ঘামে উপস্থিত বিভিন্ন দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণুকে ধ্বংস করতে ট্রাইক্লোসন ব্যবহার করা হয় ডিওতে। কিন্তু জীবাণু ধ্বংস করেই থেমে থাকে না ওই রাসায়নিক। পাশাপাশি পুরুষের স্পার্ম উৎপাদনেও বাধা সৃষ্টি করে। ইস্ট্রোজেন মুলত মহিলাদের কাম আসক্তি বাড়িয়ে যৌন মিলনকে উপভোগ্য করে। কিন্তু ছদ্ম ইস্ট্রোজেন প্রকৃত হরমোনের কার্যকারিতা কমায়।