জীবনযাপন

বুধবার সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করুন, জেনে নিন ‘নানারূপে গনেশ’ কে

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – গণেশের পুজো অপেক্ষাকৃত অর্বাচীন। এর পুজো ব্রাহ্মণ্য উপাসক সম্প্রদায় এর মতন শক্তিশালী হয়ে না উঠলেও গুপ্ত যুগের শেষ ভাগ থেকে এর পুজো সাধারণভাবে সর্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত হয়। এদেশে অদ্ভুত দেবতার পূজা প্রচলনের কিছুকাল পরে তা চীন, জাপান, যবদ্বীপ প্রভৃতি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। বেদে গণপতি বিদ্যার ও বিদ্বান পণ্ডিতের দেবতা। সকলের দেবতা নন। গণেশের এমন অদ্ভুত আকার নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন।

এমন হাতির মুখ, খর্ব, স্থূল তনু ও প্রলম্বন জঠরের কারণ কি? ‘গণেশ’ বা ‘গণপতি’ ইত্যাদি নামের বুৎপত্তিগত অর্থ হলো ‘গণের অধিপতি’। কিন্তু এই ‘গণ’ কারা? শিবানুচরের মধ্যে গণেশই হলেন প্রধান। তাই তার নাম ‘গণপতি’। গণেশের আরেক নাম ‘বিনায়ক’। যাজ্ঞবল্ক্য স্মৃতিতে ‘বিনায়ক’, ‘বিনায়কাবিষ্ট’ এবং ‘বিনায়ক মুক্তির’ অনুরূপ বর্ণনা দেখা যায়। তবে বিভিন্ন পৌরাণিক গ্রন্থে তাকে ‘বিঘ্ন উৎপাদনকারী’ অর্থাৎ ‘বিঘ্নরাজ’ বলা হয়েছে। তবে অনেক জায়গাতেই তাকে আবার ‘বিঘ্নবিনাশক সিদ্ধিদাতা’ বলা হয়েছে।

সাধারণত গণেশ মূর্তি গুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। ‘স্থানক’ অর্থাৎ ‘দাঁড়ানো’, ‘আসন’ অর্থাৎ ‘বসা’ এবং ‘নৃত্যরত’। গণেশের বাহন হলো ইঁদুর। অনেক সময় গণেশের নৃত্যরত মুর্তির পাশাপাশি তার বাহনের নৃত্যরত মূর্তিও দেখা যায়। শিবের যেমন তিনটি নয়ন, আবার কখনো কখনো গণেশের তিনটি নয়ন দেখা যায়।

বাঙালি ঘরের পয়লা বৈশাখের দিন, প্রতি সপ্তাহের বুধবার গণেশ পুজো হয়। তাছাড়া বৃহস্পতিবারও লক্ষ্মীর সঙ্গে গণেশ, লক্ষ্মী পুজো হয়। পঞ্চ উপাসনার অন্যতম অঙ্গ হিসাবে স্মার্ত মতে হিন্দুগণ তাদের বাড়িতে অন্নপ্রাশন, উপনয়ন এবং বিবাহের আগে এবং নৈমিত্তিক পূজা-পার্বণে সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করে থাকেন।

Related Articles

Back to top button