আমরা সকলেই এখন বাইরে কাজ করি। এবং এই কাজের ব্যস্ততার জন্য আমরা নিজেদের খেয়াল রাখতে পারি না। সুস্থভাবে জীবনযাপন না করার ফলে আমাদের শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। সুস্থ থাকতে চাইলেও আমরা সুস্থ থাকতে পারিনা। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি। সংসার, কর্মস্থল সব সামলানোর পরে তাদের কাছে নিজেকে দেওয়ার মতো সময় থাকেনা।
সুস্থ থাকতে গেলে আমাদের ভেতরের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়া অত্যন্ত জরুরি। এখানে নারীদের তিনটি সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আসুন দেখে নিই সমস্যা গুলি কি কি–
১) গর্ভধারণ– সব নারী চাই সন্তানের মুখে মা ডাক শুনতে। সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় নারীদেরকে অনেক কিছু মেনে চলতে হয়। সেই সময় তাকে কি খাওয়া উচিত, কি খাওয়া উচিত নয়, কোন কাজটা করা উচিত ,কোন কাজটি করা উচিত নয় সেগুলির ব্যাপারে সবকিছু জানতে হয় এবং তা মেনে চলতে হয়। এই সময় নারীদের শরীরের নানা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তবে জেনে নিই সেই লক্ষণ গুলি কি কি–
# নারীদের স্তনে বা নিপলে পরিবর্তন আসে।
# এই সময় তাদের খুব ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ করতে হয়।
# প্রতিদিন সকাল বেলায় তাদের শরীর খারাপ হতে দেখা যায়।
# শরীর থেকে ক্লান্তি ভাব যেতে চায়না। এমনকি বমি বমি ভাব ও মাথা ব্যথা ও দেখা যায়।
# যৌন আকাঙ্ক্ষা অনেকটাই কমে যায়। গর্ভকালীন সময়ে প্রত্যেকটা নারীরই এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে।
২) স্তন ক্যান্সার– স্তন ক্যান্সার স্তনের কোষের মধ্যে হয়ে থাকে। এটি হলো ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। স্তন ক্যান্সার এর বিভিন্ন ধরন রয়েছে যেমন–
# ডাক্টাল কার্সিনোমা
# ইনভাসিভ ডাক্টাল কার্সিনোমা
# ইনভাসিভ লবুলার কার্সিনোমা
# মিউসিনাম কার্সিনোমা
# মিক্সড টিউমারস
# মিডুলেরি কার্সিনোমা
# ইনফ্লেমটরি ব্রেস্ট ক্যান্সার
# ট্রিপল নেগেটিভ ব্রেস্ট ক্যান্সার। স্তন ক্যান্সার হলে নিপলে ব্যথা অনুভূত হয়। নিপলের চারপাশ ফুলে যায় বা লাল হয়ে যায়। স্তনে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
৩) পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া– ওভারির যখন কার্যক্ষমতা কমে যায় তখন নারীদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। 40 থেকে 50 বছর বয়সে এটি দেখা যায়।
# মেনোপজ বা পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে নারীদের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে। এ ব্যাপার নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
# মেনোপজ হওয়ার একটি লক্ষণ হলো রাতের বেলা হঠাৎ করে শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। মাথা ও বুক ঘেমে যেতে থাকে।
# এই সময় কোনো কোনো নারীর যৌনাঙ্গ জনিত সমস্যা দেখা দেয়। যেমন যৌনাঙ্গে অনেক সময় চুলকানি হয়ে যায় বা যৌন মিলন করার সময় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়।