ক্রিকেটারদের জীবন যাপনের সাথে সাধারণ মানুষের জীবন যাপনের প্রক্রিয়া যে সম্পূর্ণ ভিন্ন তা কারোর অজানা নয়। একজন ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত জীবন আর ক্যারিয়ার এক দিশায় চলতে শুরু করে। ব্যক্তিগত জীবন নিজের কন্ট্রোলের বাইরে চলে যায় বলেও বিভিন্ন সময় উল্লেখ করেছেন ক্রিকেটাররা। বলতে গেলে তাদের ব্যক্তিগত জীবন হয়ে দাঁড়ায় গোটা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের চাহিদার অনুকরনে। অর্থ উপার্জনের সহজ মাধ্যম হলেও ক্রিকেট ব্যক্তিগত সত্তাকে হত্যা করে ফেলে বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক ক্রিকেটাররা।
এবার সেই জুতোতে পা গলালেন মহেন্দ্র সিং ধোনির পত্নি সাক্ষী ধোনি। এই পর্যায়ে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি তার জীবন থেকে প্রায় দুই যুগ সময় দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতি কল্পে।। ২০১০ সালের ৪ জুলাই সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন এমএস ধোনি ও সাক্ষী। দেখতে দেখেত দাম্পত্য জীবনের ১২ বছর অতিবাহিত করে ফেলেছেন তাঁরা। ক্রিকেট জগতের সবচেয়ে আলোচিত জুটির মধ্যে নিজেদের নাম লিখিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং সাক্ষী ধোনি। বিয়ের পর থেকে অধিকাংশ আন্তর্জাতিক ম্যাচের সাথে সাক্ষী চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) প্রতিটি ম্যাচে গ্যালারিতে হাজির থেকেছেন। এই প্রথমবার কোন ক্রিকেটারের স্ত্রী সরাসরি তাদের বিবাহিত জীবনের বিরম্বনা তুলে ধরলেন।
এদিন সাক্ষী ধোনি বলেন,”একজন ক্রিকেটারের স্ত্রী হওয়া যে কোন নারীর জন্য খুবই গর্বের বিষয়। কারণ তাদের স্বামী কোটি কোটি ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। তারা তাদের নিজের যোগ্যতায় এমন উচ্চতায় পৌঁছেছেন। তারা এমন একটি খেলার সাথে যুক্ত, যে খেলাটি ভারতীয়দের জন্য অত্যন্ত ভালোবাসার। তবে ক্রিকেটের সাথে জড়িয়ে থেকে তাদের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন চলে আসে, যেগুলো আমাদের মেনে নিতে হয়।”
তবে বর্তমানে মহেন্দ্র সিং ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরেও কেন সাক্ষী ধোনি আফসোস করছেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,’এখন মহেন্দ্র সিং ধোনি গেম খেলতেই ব্যস্ত থাকেন। কানে হেডফোন দিয়ে সর্বদা PUBG খেলতে থাকেন তিনি। তাই চিৎকার করলেও মহেন্দ্র সিং ধোনী কোনরকম প্রতিক্রিয়া জানান না। আর সেই কারণেই তাকে বিয়ে করে এখন আফসোস করি।’