শ্রেয়া চ্যাটার্জি – প্রতিদিন ৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সেবা করতে আসেন এই নার্স। তার মতে, ‘এটা তার কর্তব্য। কেন তিনি ভয় পাবেন?’ তিনি লোক নায়ক হসপিটালে সঙ্গে যুক্ত আছেন। যেখানে স্বাস্থ্য কর্মীর সংখ্যা প্রায় এক হাজার। এই মুহূর্তে সেই হসপিটালে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সংখ্যা ৬০২। হাসপাতালে আসার পরই তিনি তার খয়েরি রঙের পোশাকটি পরে নেন। তাছাড়াও তিনি পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইক্যুয়িপমেন্ট অর্থাৎ পি.পি.ই দিয়ে পুরো শরীর ঢেকে নেন। তবে তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়ার জন্য আধঘন্টার জন্যও এই পোশাক গুলি পড়ে কাজ করা সত্যিই খুব কষ্টকর হচ্ছে। এছাড়া তারা এয়ার কন্ডিশন ও চালাতে পারছেন না। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি খুব খারাপ।
এই হাসপাতালে নার্স দের তিনিই নেতৃত্ব দেন। তার কথায় শুধুমাত্র রোগীরা যে সেখানে যত্ন পাবেন তা নয়, তার নার্সরাও সেখানে যথেষ্ট সুরক্ষিত থাকবেন। যদি তারা পরিবারের থেকে অনেকটা দূরেও থাকে তাহলে উপযুক্ত বাসস্থান এবং খাবারের ব্যাবস্থা থাকবে।’
করোনা ভাইরাস এর জন্য গোটা দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের অনেক জায়গাতেই এমন লকডাউন পালন করা হচ্ছে। কারণ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে একটাই রাস্তা হল, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, তাই প্রত্যেকেই গৃহবন্দী। তবে যে মানুষগুলোর রাত দিন পরিশ্রম করে আমাদেরকে রক্ষা করছেন, তাদের মধ্যে অনেকটা জায়গায় নিয়ে রয়েছেন চিকিৎসা কর্মীরা। ডাক্তার, নার্স এছাড়াও হসপিটালের নানারকম সহকারি কর্মীরা। কারোর অবদান ভোলার নয়। এই ভাইরাস এতটাই ছোঁয়াচে যার জন্য আমরা বাড়ি থেকে বের হতেই ভয় পাচ্ছি। কিন্তু ডাক্তার-নার্সরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা করে চলেছেন এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের।