এবার বিষধর সাপের কামড়ে আহত হলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। বিশ্বজিৎ খাড়া নামে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি দাসপুর ব্লকের যদুপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, তিনি মুম্বাইয়ের সোনার কাজ করতেন। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু হওয়ার পর ফিরে আসেন নিজের রাজ্যে। এরপর সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী নিজের এলাকার একটি স্কুলে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে শুরু করেন দিন দশেক আগে থেকে। এদিন, বৃহস্পতিবার ভোর চারটে নাগাদ হঠাৎই চিৎকার করে ওঠেন তিনি। দেখা গিয়েছে, মশারী পাশে একটি সাপ। ওই সাপের ছোবলেই আর্তনাদ করে ওঠেন তিনি তা আর বাকিদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি।
এরপর তাঁর চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরাও ছুটে আসেন। বাকি শ্রমিকেরা ওই সাপটিকে মেরে ফেলেন। এরপর বিশ্বজিৎ খাড়াকে দাসপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্রমে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এলাকার ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে এখন আট জন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। পরিবার ও বাকিদের অভিযোগ, এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থাকলেও তাঁর উপর কোনো নজর নেই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।
সাপের ছোবল খাওয়ার পর ওই শ্রমিককে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পাওয়া যায়নি কোনো সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। গ্রামবাসী ও পরিবারের চেষ্টায় তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরও প্রশাসনের তরফে কেউ আসেনি। কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি এবং গরমের জেরে সাপের উপদ্রব বাড়ছে বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা।