লাদাখ সীমান্তের গালোয়ান উপত্যকা চিনের আক্রমনাত্মক আচরনের ফলে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আর এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নয়াদিল্লি। তবে শুধু নয়াদিল্লিই নয়, চিনা সরকারের এমন আগ্রাসন নীতিকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে আমেরিকাও। ভারতের সঙ্গে চিনের যু্দ্ধ বাঁধলে ভারতের পাশে থাকবে মার্কিন ফৌজ, এমনটাই জানা গিয়েছে হোয়াইট হাউস সূত্রে। ‘Fox News’-এর তরফে দাবি করা হয়েছে ভারতের সঙ্গে চিনের যুদ্ধে ভারতের দিকে সবরকম ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, চিন দেশের পার্শ্ববর্তী যেসমস্ত দেশ রয়েছে তাঁরা কেউই নিরাপদ নয়। তাই বেজিংয়ের আগ্রাসন নীতিকে প্রশ্রয় দিতে চাইছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে চিনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ চিন সাগরে দু’টি রণতরী প্রেরণ করেছে আমেরিকা। সেই রণতরী হল ‘USS Nimitz’ ও ‘USS Ronald Reagan’ দুটি শক্তিশালী যুদ্ধবিমান। ভারতের সঙ্গে এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন কার্যকলাপে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছে চিন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ন্যাটো জোট বেজিংকে সাবধান করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ মার্ক মিডোজের কথায়, “চিন বা অন্য যেকোনো দেশ নিজেদের সর্বশক্তিমান মনে করে বিশ্বকে নিজেদের হাতের মধ্যে আনবে সেটা আমরা নিশ্চিন্তে দাঁড়িয়ে দেখবো না। আমরা আমাদের সামরিক ক্ষমতা আরও শক্ত করবো যাতে চিনকে মনে করিয়ে দেওয়া যায় যে বিশ্বে আরও বড়ো শক্তি রয়েছে”। এর ফলে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে চিন। গালোয়ান উপত্যকা থেকে ইতিমধ্যে আরও দুই কিমি নিজেদের পিছিয়ে নিয়ে গিয়েছে চিনা সেনাবাহিনীর দল। পরিস্থিতি প্রতিকূল তা ক্রমে বুঝতে পারছে বেজিং।