মুম্বইকে ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের’ সঙ্গে তুলনা করার খেসারত দিতে হয়েছে কঙ্গনাকে। এমনকি বলিউডের কালা দিক প্রকাশ্যে আনার পরেও বলিউডের কেউই তাঁকে সমর্থন করেননি। এই লড়াই গড়িয়েছে রাজনৈতিক মহল পর্যন্ত। তিনি এও বলেছেন যে মুম্বাই হল ‘তালিবান সাম্রাজ্য’-র মত। এমনকি মুম্বাই পুলিশ যথেষ্ট অসমর্থ। ব্যাস, এতেই চটেছেন শিবসেনার মুখপত্র। কঙ্গনাকে মুম্বাইতে না আসার হুমকি তো দিয়েইছেন পাশাপাশি ‘হারামখোর’ বলেও আক্রম করতে ছাড়েননি শিবসেনার মুখপত্র।
ঠিক এরপরেই কঙ্গনা হুঁকার ছাড়েন। তিনি জানান যে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর তিনি মুম্বাইতে ফিরছেন কারোর আটকানোর ক্ষমতা থাকলে আটকাক। এরপরেই আসে সেই সুসংবাদ- কঙ্গনাকে ওয়াই ক্যাটাগরির সিকিউরিটি দেওয়া হয়। এরপর হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরও ‘অভিনেত্রীকে কীভাবে নিরাপত্তা দেওয়া যায়, সেইসব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে বলিউডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরব হচ্ছেন কঙ্গনা রানাউত। বলিউডে মাদক যোগ নিয়ে সরাসরি তোপ দেগেছিলেন এই অভিনেত্রী। প্রত্যেকের নাম তুলে জানান যে এঁদের ব্লাড টেস্ট করানো উচিত। এছাড়াও স্বজনপোষণ নিয়েও সোচ্চার হন এই অভিনেত্রী। করণ জোহারকে একেবারে কোণঠাসা করে বলেন, ইনিই হলেন নাটের গুরু।
কঙ্গনা এমনই এক ব্যক্তিত্ব, যিনি নিজের জীবনের কালো দিক গুলো তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে তাঁকেও মাদক নিতে বাধ্য করা হয়েছিলো এমনকি অনেক যৌন লাঞ্ছনাও ভোগ করতে হয়। এই সব কিছুই খুব দাপটের সঙ্গে স্বীকার করে নেন কঙ্গনা। তাই এইবার বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে জানান যে তিনি মাদক কাণ্ড নিয়ে নারকটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোকে সবরকম ভাবে সাহায্য করতে রাজী। এরপরই শনিবার কঙ্গনার দিদি রঙ্গোলির চান্দেল হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এই বিষয়ে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কঙ্গনাকে হিমাচল প্রদেশের মেয়ে বলে সম্বোধন করে জানান যে কঙ্গনাকে তিনি সবরকম ভাবে সুরক্ষা প্রদান করবেন।