গতকালই ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছে “কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন” এবং “কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চু্ক্তি” সংক্রান্ত বিল। কিন্তু কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত বিল নিয়ে ঝামেলা এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গড়ায় ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণের কাছ থেকে মাইক্রোফোন ও রুল বুক নিয়ে টানাটানি করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। প্রসঙ্গত, কৃষি বিল পাশ করানো নিয়ে এদিন কোনোকিছুই বাদ যায়নি।
রুল বুকে ছিঁড়ে ফেলা, ডেপুটি স্পিকারের মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা থেকে ওয়েলে নেমে বিরোধীদের তপ্ত স্লোগান, সবই হলো কিন্তু বিরোধীদের হারিয়ে শেষমেশ কৃষি বিল পাশ করিয়ে নিল সরকার। রাজ্যসভায় ২৪৫ আসনের মধ্যে এনডিএ-এর রয়েছে ১১৬ সদস্য। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কেউই এই বিলের পক্ষে ছিলো না। এদিন এই বিল নিয়ে আলোচনার সময় কংগ্রেস সরাসরি বলে বসে কৃষকদের মৃত্যুর পরোয়ানা এই ফার্ম বিল।
এবার সেই ঘটনার শাস্তি হিসাবে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও দোলা সেন সহ মোট আটজন বিরোধী সাংসদকে বরখাস্ত করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। রাজ্যসভায় বিরোধী সাংসদদের হাঙ্গামার জন্য রবিবারই বেঙ্কাইয়া নাইডু তাঁর বাসভবনে একটি বৈঠক ডাকেন। যেখানে উপস্থিত ছিলীন, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
বরখাস্তের তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেসের সৈয়দ নাসির হুসেন, রাজীব সতাভ, রিপুন বোরা, সিপিআইএম-এর কেকে রাগেশ, আপের সঞ্জয় সিং, সিপিআইএম এর এলামারাম করিম। অন্যদিকে এদিন আটজন বিরোধী সাংসদের বরখাস্ত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেন, ”কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দুঃখজনক। ফের প্রমাণ হল যে এই সরকার গণতন্ত্রের সম্মান করে না। আটজন সাংসদ কৃষকদের জন্য লড়াই করেছে। আমরা এত সহজে মাথা নিচু করব না। রাজ্য সভা হোক বা রাস্তা, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।”