বাংলা বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ একেবারে দোড়গোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। তবে নির্বাচনের আগে কোনো রাজনৈতিক দল অন্য রাজনৈতিক দলকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে রাজি নয়। রাজনৈতিক দল নেতারা বারংবার বাকযুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছেন। তবে এরই মধ্যে জবাব পালটা জবাবের রেষারেষিতে সমালোচনায় জড়ালেন এক বিজেপি নেতা। আসলে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে “ভয়ঙ্কর খেলার” আভাস দিচ্ছেন। তবে এরইমধ্যে বিজেপি নেতা কালোসোনা মন্ডল “জেলাজুড়ে গুলির খেলা” হবে বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন। এমনকি তিনি জেলা শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, “আমি বলছি গুলি চলবে। সেই খেলার গুলিতে দেশদ্রোহীর মৃত্যু হবে।”
আসলে কিছুদিন আগে বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল নির্বাচনী সভা জমিয়ে দেবার জন্য স্লোগান দিয়েছিলেন আগামী নির্বাচনে খেলা হবে। তিনি বলেছিলেন, “এবার বিধানসভা নির্বাচনে ভয়ঙ্কর খেলা হবে। যে যে ধরনের খেলা চাইবে সেই ধরনের খেলা হবে। এই মাটিতেই খেলা হবে। এই খেলা শুধুমাত্র বীরভূমে হবে এমন নয়। গোটা রাজ্য জুড়ে খেলা হবে। রাজ্যের সবকটা বুথে খেলা হবে। মেদিনীপুরে হবে আবার জলপাইগুড়িতে হবে। সব জায়গায় চকলেট থাকবে, বিস্কুট থাকবে, জল থাকবে। অন্য কিছু চাইলে তাও থাকবে। আর এই খেলার আম্পিয়ার থাকবে অঞ্চলের তৃণমূল প্রার্থী। যেখানে যেমন নিয়ম সেখানে তেমন খেলা হবে।”
এবার তার স্লোগানের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে খবরের শিরোনামে এলেন বিজেপি নেতা কালোসোনা মন্ডল। আসলে কিছুদিন আগেই দল বিরোধী কাজের অভিযোগে বিজেপি কালোসোনা মন্ডলকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল। তবে গত রবিবার ই তাকে আবারো দলে নেওয়া হয়। কিন্তু দলে এসেই আবারো বিতর্কে শিখরে তার বক্তব্য। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে বলেছিলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের সভায় তার খেলার হাতিয়ার ছিল প্রাইমারি চেয়ারম্যান। অনুব্রত বাবুর সঙ্গে তিনি বলেছেন খেলা হবে। আরে খেলা তো জরুর হবে। লড়াই তো হবেই। গুলো চলবে সেই লড়াইয়ে। দেশদ্রোহীর ওপর গুলি চলবে। এই খেলা বিজেপি সেলকে করতে হবে না। এই খেলা খেলবে জনগণ। জনগণকে বৃন্দাবন দেখাবে।”